খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির জেলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সূর্য্যমুখীর চাষ। ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে জেলার সমতল ভূমিতে কৃষকরা এখন সূর্যমুখীর চাষ করছেন।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে সরকার দেশে ৪০শতাংশ তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে সারাদেশে কৃষি প্রণোদনা দিয়েছে। প্রণোদনার আওতায় চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়ির ৩ শত হেক্টর সমতল ভূমিতে খণ্ডকালীন ফসল হিসেবে সূর্যমুখীর চাষ করেছে কৃষকেরা। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলের মাঠ জুড়ে চোখে পড়ে সূর্যমুখীর বাগান। দৃষ্টি নন্দন এ ফুল যেন সবাইকে তার কাছে টানে।
অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী লাভজনক বলছে কৃষক। প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ায় তারা খুশি। বর্তমানে ফুল অবস্থায় রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পরিপক্ক হবে। কৃষকরা নিজেরা ভোজ্য তেল তৈরি করে প্রয়োজনীয় তেলের চাহিদা পূরণ করে বাইরে সরবরাহ করতে পারবে। ভবিষ্যতে আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা তাদের।
জেলা সদরে ৬০ বিঘা, পানছড়িতে ৬০ বিঘা, দীঘিনালায় ২০ বিঘা, মহালছড়িতে ২০ বিঘা, মাটিরাঙ্গায় ৫০ বিঘা, রামগড়ে ২০ বিঘা, মানিকছড়িতে ৩০ বিঘা, লক্ষছড়িতে ২০ বিঘা ও গুইমারায় ২০বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কর্মকর্তা নীতিভূষণ চাকমা বলেন, প্রণোদনার অংশ হিসেবে বিঘা প্রতি একজন কৃষককে এক কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার সরবরাহ করা হয়েছে। ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫০ টাকার কৃষি প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। বীজ সরবরাহের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়েও আমরা তদারকি করছি।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, পুষ্টিমান ভালো থাকায় সূর্যমুখী চাহিদাও বেশি। আগামীতে এর চাষাবাদ আরো বাড়বে। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে এ চাষ ভূমিকা রাখবে।
কম কোলেস্টেরল এবং স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে সূর্যমুখীর চাষাবাদ বাড়লে সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, দামও হবে সাশ্রয়ী। এমনটাই আশা স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
এসএম