শরীয়তপুর: আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শরীয়তপুরে ৪৬ হাজার ৪৭৩টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে খামারিরা। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও খামারিদের এবার জেলার চাহিদা মিটিয়েও বাইরে পাঠানো সম্ভব।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৩৭ থেকে ৩৮ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। জেলায় ছোট-বড় মিলে ৭ হাজার ৫৩৬টি খামারে ৪৬ হাজার ৪৭৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তাই জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি পশু জেলার বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এদিকে কোরবানির পশু সঠিক পদ্ধতিতে জবাই ও চামড়া ছাড়ানো নিশ্চিতে ২২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
নড়িয়ার গো-খামারি সামসুল আলম বলেন, আমার খামারে ২২টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। আমি গরু বিক্রির জন্য হাটে যাচ্ছি না। এখনো পর্যন্ত ক্রেতারা বাড়িতে এসেই গরু কিনছে। ভালোই লাভ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস বলেন, এ বারের কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে জেলা ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। আশাকরি জেলার চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। ইতোমধ্যে খামারিরা বেশি দামের আশায় জেলার বাইরে পশু নিতে শুরু করেছেন। জেলায় এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১৭টি পশু হাটের ১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
আরএ