ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

উড়ি ধানের উদ্ভাবন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: ঢাবি উপাচার্য

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
উড়ি ধানের উদ্ভাবন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: ঢাবি উপাচার্য কথা বলছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: লবণ সহিষ্ণু উড়ি ধানের উদ্ভাবন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাবির উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ‘ধানের লবণ সহনশীলতা বৃদ্ধিতে উড়ি ধান সংশ্লিষ্ট জিন এবং অণুজীবের প্রয়োগ’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ওপর এক সেমিনারে বক্তৃতায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যপক ড. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য ও গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজ।  

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নুল আবেদীন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মতিন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ উদ্ভাবনে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অসাধারণ সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের গবেষণা ও উদ্ভাবন দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, উড়ি ধানের মতো উদ্ভাবন তা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

উপাচার্য আরও বলেন, যেকোনো উদ্ভাবনের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে এর সুফল তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। অন্যথায় এসব উদ্ভাবন হারিয়ে যাবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধানের ফলন বৃদ্ধিতে অধিকতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০,২০২৩
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।