বাগেরহাট: বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. অনুরাধা ভদ্র বলেছেন, বাগদা চিংড়ির ঘেরের ৩০-৩৮ শতাংশ এলাকায় কাঁটা শ্যাওলা থাকলে চিংড়ি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। চিংড়ি মাছের উৎপাদন হবে দ্বিগুণ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগদা চিংড়ি রোগ প্রতিরোধ ও ঘেরের পরিবেশ সুরক্ষায় কাঁটা শ্যাওলার ভূমিকা শীর্ষক দিন ব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. অনুরাধা ভদ্র বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষে হেক্টর প্রতি মাত্র ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি চিংড়ি উৎপাদন হয়। খাবার দিতে হয় চিংড়ির শরীরের ওজনের ৫ শতাংশ। ৩০-৩৮ ভাগ এলাকায় কাঁটা শ্যাওলা থাকলে খাবার দেওয়া লাগবে শরীরের ওজনের আড়াই ভাগ। এতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।
সব চিংড়ি চাষিকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে জানানোর অনুরোধ করেন এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, ময়মনসিংহ স্বাধু পানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ, বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এসএম তানভিরুল হক, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লোকমান আলী, জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
কর্মশালায় দেশের উপকূলের চিংড়ি চাষ এলাকাসহ মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারি বিভাগের অধ্যাপক, চিংড়ি চাষি ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এসএএইচ