জেলার কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে গত বছরের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাষিরা। গত বছরের বন্যায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।
দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের কৃষক জব্বার আলী বাংলানিউজকে জানান, ‘গত বছরের বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। চলতি বছরে বন্যার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকার যদি ধানের ন্যায্যমূল্য না দেয় তবে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। ’
উপজেলার সোনাহার ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের জসিম, ইসমাইলসহ বেশ কয়েকজ কৃষক বাংলানিউজকে জানান, ‘এবার বাজারে যদি ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রয় করতে হয় তবে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হবে। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। ’
অপরদিকে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান, তিরনই, শিপাইপাড়া এলাকার কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং ভালোভাবে ধান সংগ্রহ করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে সব কৃষকেরা গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। ’
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে কৃষকের প্রায় ধান কাটা শেষ। ধানের ভালো ফলনের কারণে কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি। এখন শুধু ধানা ঘরজাত করার পালা। তবে ধান চাষিসহ সংশ্লিষ্টদের মুখে একই কথা এবার ধানের ন্যায্যমূল্য চাই।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ‘এ বছর পঞ্চগড় জেলায় ৯৭ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮৮ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল, ৮ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং এক হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন ধান আবাদ করা হয়েছে। ’
পঞ্চগড় কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবার জেলায় ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকরা ধানের ভালো দাম পেলে আগামীতে ধানের আবাদ আরও বাড়বে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
জিপি