সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা শহরের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা কেজি, লালশাক আঁটি ১৫-২৫ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৫০-৬০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৩০ টাকা কেজি, লাউ ৪৫-৫৫ টাকা, শসা ৩৫ টাকা কেজি, মূলা ১০ টাকা, বড় নলকোষ শিম ৩০ টাকা কেজি, ছোট শিম নলকোষ ২৫ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি
বরগুনায় সস্তায় বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি
বরগুনা: বরগুনার সবশ্রেণির ক্রেতারা তাদের ইচ্ছেমতো চাহিদানুযায়ী সস্তায় শীতকালীন সবজি কিনছেন। ভরমৌসুমে শীতকালীন সবজির আগাম চাষ করায় সেগুলো বাজারে ওঠেছে। ফলে সবজিতে বাজার ভরে গেছে। ক্রেতারাও সহজেই শীতকালীন সবজি সস্তায় কিনতে পারছেন।
বরগুনার পাইকারী সবজিব্যাবসায়ী আড়তদার বাদশা বলেন, কৃষকরা শীতকালীন সবজির আগাম চাষ করেছেন। ফলে বাজার সবজিতে ভরে গেছে। ক্রেতারাও সহজেই তা কম দামে কিনে নিচ্ছেন। ভরমৌসুমে সবজির দাম আরও কমতে পারে বলে যোগ করেন তিনি।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত শীতকালীন সবজির দাম নাগালের বাইরে থাকে। কিন্তু এবার আগাম শীতের সবজি বাজারে বেশি আমদানি হওয়ায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যেই।
বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলছেন, কাঁচাবাজারে শীতের সবজির দাম অনেকটা নাগালের মধ্যে। এজন্য তারা প্রতিদিনই শীতের সবজি কিনতে পারছেন। বরগুনা সদর উপজেলার-৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের সবজিচাষি আলাউদ্দিন আকন বাংলানিউজকে বলেন, বেশি দামের আশায় আগাম শীতের সবজির আবাদ করেছি। কিন্তু একইসঙ্গে শীতের আগাম সবজি এসে বাজার সয়লাব হয়েছে। এজন্য সবজির দামও অনেকটা কম। এবার শীতকালীন আগাম সবজিতে তারা লাভবান হতে পারবেন না বলেও যোগ করেন তিনি।
বাজারে সবজির দাম কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই এলাকার কৃষক ফজলে আবু, জসিম উদ্দিন, আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সবজি চাষের স্থলে আমরা আগামীতে ধান বা অন্য ফসল আবাদ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এএটি