কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয় উপজেলায় রোপা আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার একশ ৪৩ মেট্রিক টন চাল। ৬৮ হাজার ৮১ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা।
এরমধ্যে চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার চারশ ৪৬ হেক্টর জমিতে। সাত হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ৫৯ হাজার নয়শ ৩৭ হেক্টর জমিতে উফশি ও ছয় হাজার পাঁচশ দুই হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়।
চাষ করা জমির মোট ৯১ শতাংশের ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে।
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড ও উফশি জাতের আমনের চারা রোপণ করা হয়েছিল। কিছু কিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের আমনের চাষও হয়েছে। সব ধরনের জাতেরই এ বছর ফলন আশানুরূপ ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও শ্রমিকেরা। চাষির ঘরের উঠোনে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। সোনাগাজীর চরাঞ্চলের অনেক কৃষক মাঠের পাশেই ধান মাড়াইয়ের কাজ সারছেন।
চর খোন্দকারের চাষী ভোলা মিয়া জানান, প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ধান উঠায় ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই। আশা করি সরকার ন্যায্য মূল্যে ধান কিনে কৃষকের আনন্দকে ধরে রাখবেন।
সোনাগাজীর চরাঞ্চলের বাদামতলী গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, এবার আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে কৃষক এবার লাভবান হবে।
ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার সবখানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে আমন কাটা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএইচডি/এবি