ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

চুয়াডাঙ্গার সেই চায়না কমলার বাগান এখন বিনোদনকেন্দ্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২০
চুয়াডাঙ্গার সেই চায়না কমলার বাগান এখন বিনোদনকেন্দ্র

চুয়াডাঙ্গা: শুধু চায়না কমলার একটি সাধারণ বাগান বললে অনেকটা ভুল হবে। সারিবদ্ধ চায়না কমলা গাছের একখণ্ড বাগানটি এখন একটি বিনোদনকেন্দ্রের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বলছিলাম চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিধিকুণ্ডু গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক খানের চায়না কমলা বাগানের কথা। 

সাধারণত একটি ফলের বাগান রোপন, পরিচর্যা ও তার ফল বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এসব সাধারণ কাজের মধ্যে আবদ্ধ নয় কমলা চাষি ওমর ফারুক খান।

সেই বৃত্ত ভেঙে বাগানের প্রতিটি গাছে ধরা ফল একটিও বাজারে বিক্রি করেননি তিনি। বরং দর্শনার্থী টানতে গাছের ফল গাছেই ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। শুধুমাত্র দর্শনার্থী আপ্যায়ন ছাড়াও কর্তন করা হচ্ছে না কমলা। আবার অনেক গাছের ফল পরিপক্ক হয়ে তা গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এতেই মহানন্দে ওমর ফারুক খান।  

গাছজুড়ে পাকা কমলালেবু।  ছবি: বাংলানিউজপ্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে চায়না কমলার এই বাগান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন হাজারো দর্শনার্থী। কেউ পরিবার পরিজন ও কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু প্রশান্তির সময় কাটাতে আসছেন বাগানটিতে। সকাল কিংবা বিকেল পছন্দসই সময়ে বাগানে এসে নিরিবিলি সময় পার করছেন তারা। ছোট ছোট শতাধিক গাছে হলুদ ও গাঢ় লাল বর্ণের চায়না কমলা দেখে অভিভুত হচ্ছেন অনেকে। কেউবা আবার পরিকল্পনা করছেন নিজের পতিত কিংবা বাসার ছাদে এ ধরনের গাছ রোপণের।

প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাগান ঘুরতে থেকে আসা দর্শনার্থী কামরুন্নাহার ইতি বাংলানিউজকে জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরে চিত্ত বিনোদনের তেমন জায়গা নেই। এজন্য বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে এত দূর পথ পাড়ি দিয়ে চায়না কমলার বাগান দেখতে আসা তার। বাগানে এসে অভিভূত তিনি। সেসঙ্গে তার ছেলেমেয়েরাও খোলা পরিবেশে বিশুদ্ধ শ্বাস নিতে পারছে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তিনি।  

গাছজুড়ে পাকা কমলালেবু।  ছবি: বাংলানিউজপরে মেহেরপুর জেলা থেকে ঘুরতে আসা সাকিব হাসান বাংলানিউজকে জানান, এখানে আসার আগে বাগান সম্পর্কে অনেক গল্প শুনেছেন তিনি। তাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে আসা তার। এসে মনে হচ্ছে তার এত দূর পথ পাড়ি দেওয়া স্বার্থক।  

আরও পড়ুন
** চুয়াডাঙ্গায় কমলালেবুর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ

আরেকজন আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, ছোট ছোট গাছের সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া লাল রংয়ের কমলাগুলো যে কারোও নজর কারবে নিসঃসন্দেহে। তাই এ ধরনের ফল গাছের চারা সংগ্রহ করে বাসায় নিয়ে যেতে আগ্রহী তিনি।  

কলমালেবুর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজকমলা চাষি ওমর ফারুক খান বাংলানিউজকে বলেন, ‌‌‍‍‍‍‌‌‌ফল বিক্রি নয়। ফল থেকে চারা উৎপাদন করাই তার মূল উদ্দেশ্য। তাই গাছের ফল গাছেই রাখা হয়েছে। অনেকেই আসছেন চারা কিনতে। তাদের প্রয়োজনমতো চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। সেসঙ্গে দর্শনার্থীদেরও গাছ থেকে পেড়ে টাটকা সুস্বাদু কমলা দিয়ে আপ্যায়ন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।