ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২০
আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গা আমের মুকুল। ছবি: বাংলানিউজ

চুয়াডাঙ্গা: এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। গাছে গাছে ফুটছে নতুন ফুল। সুবাস ছড়াচ্ছে চারদিকে দিকে। শীতের জড়তা কাটিয়ে আম গাছেও লেগেছে ফাল্গুনের ছোঁয়া। আমের নতুন মুকুলে মুকুলে ভরে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার আম বাগানগুলো। এবার কিছুটা আগে ভাগেই শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। আর কিছুদিন পরেই দেখা মিলবে গুটি আমের।

ঋতু ও প্রকৃতির মধ্যে দারুণ বোঝাপড়াটা প্রকাশ পায় এখনই। প্রকৃতির নতুন অবয়ব ও ঋতুর পালাক্রম পরিবর্তন এক অন্যরকম মিলন।

যেন প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব মহিমায়। তাল মিলিয়ে বাদ যায়নি আমের গাছগুলোও। নিজেকে উজাড় করে বিলিয়ে দিচ্ছে তার সৌন্দর্য। ঘ্রাণে ঘ্রাণে বিমোহিত করছে চারপাশ। আমের মুকুল।  ছবি: বাংলানিউজচুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় আম গাছগুলো ভেঙে পড়ছে মুকুলের ভারে। বাড়ির আঙ্গিনা থেকে বাগান পর্যন্ত সব জায়গায় শোভা ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। মৌ-মৌ গন্ধে ভরিয়ে তুলছে চারদিক। বাধভাঙা মুকুলে খুশি আমচাষিরাও। এখন চলছে পরিচর্যা। আর কিছুদিন পরই দেখা মিলবে গুটি আমের। আমের মুকুল।  ছবি: বাংলানিউজশহরতলী বেলগাছী এলাকার আমচাষি হাশেম মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, মাঘের শেষভাগ থেকেই তারা আম বাগান পরিচর্যা করতে ব্যস্ত রয়েছে। এবার তার বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমের মুকুল এসেছে। অপেক্ষা শুধু আশানুরুপ ফলনের।

দীননাথপুর গ্রামের আম বাগান মালিক রবিউল হক বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জেলার প্রতিটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ আমের মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সর্বোচ্চ ফলন সম্ভব হবে। এজন্য তারাও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। মুকুল ভরা আম গাছ।  ছবি: বাংলানিউজস্থানীয় হিরো মণ্ডলের দাবি, কীটনাশক ও ফরমালিনের দূরত্ব বজায় রেখে ফসল উৎপাদনের। যেহেতু এবছর এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত মুকুল আছে। তাই এবার বিষ ও ফরমালিনমুক্ত আমের স্বাদ গ্রহণের করতে চান তিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহী অঞ্চলের পরেই এ অঞ্চলের আম সুস্বাদু ও প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে এখানকার হিমসাগর আমের বেশ সুনাম রয়েছে। এবার আমের ফলন যথেষ্ট হলে তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। মুকুল ভরা আম গাছ।  ছবি: বাংলানিউজগতবছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৮শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এবছর তার মাত্রা বেড়ে ১৯শ ৫০ হেক্টর আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বছর বিষ ও ফরমালিন মুক্ত আম উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।