ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

পাহাড়ের লেবু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে অন্য জেলায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২০
পাহাড়ের লেবু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে অন্য জেলায়

জামালপুর: জামালপুরের গাঢ় পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গাছে ঝুলে রয়েছে লেবু। করোনা ও রমজানে লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন লেবু চাষিরা। 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সাতানিপাড়া এলাকায় দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে লেবুর বাগান। স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা একটু সমতল জায়গা পেলেই রোপণ করছেন লেবুর চারা।

এর কারণ অবশ্যই একটু ভিন্ন। হাতির আক্রমণে যখন পাহাড়ি জনপথ দিশেহারা তখন স্থানীয় জেলা প্রশাসকের পরামর্শে হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে লেবু চাষে আগ্রহী হয় স্থানীয় জনপদের মানুষ।

বিভিন্ন জায়গা থেকে লেবুর চারা ও কলম সংগ্রহ করে বন্য হাতির বিচরণ ক্ষেত্র ও হাতির চলাচল রাস্তায় এসব লেবু চারা রোপণ করেন তারা। এসব লেবুর চারা রোপণের ফলে একদিক থেকে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য ফসল তারা নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারছেন। লেবুর চারা বড় হওয়ায় এখন এলাকায় হাতির উপদ্রব অনেকটাই কমে গেছে।

লেবু চাষে আবহাওয়া ও মাটি অনুকূল হওয়ায় এখানে শুধু এলাচি, কাগজি ও বাতাবি লেবুর চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য লেবুর চেয়ে গুনগত মান উন্নত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এ লেবুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় উপযুক্ত দামও পাচ্ছেন এসব লেবু চাষিরা।
পাহাড়ে লেবুর বাগান।  ছবি: বাংলানিউজস্থানীয় বাজারে লেবুর চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য জেলাতেও যাচ্ছে এই লেবু।

লেবু গাছ বড় হওয়ায় ভারতীয় বন্যহাতি এখন আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে পারে না, ফলে জানমাল অনেকটাই নিরাপদ।

এদিকে লেবু চাষের পর এবার পরীক্ষামূলকভাবে মালটার চারাও রোপণ করতে দেখা গেছে এই এলাকার চাষিদের। বেশ কিছু গাছে মালটা ধরেছেও। এগুলো পাকতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রতি অভিযোগ অনেক। সাত্তার, নজরুল ও সর্দার মিয়া জানান, তারা লেবু চাষ করছেন আনুমানের ওপর ভিত্তি করে। এ পর্যন্ত লেবু চারা রোপণ করলেও কোনো ধরনের সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিক নিয়ম মোতাবেক লেবু চাষ করলে হয়তো আরও লাভবান হওয়া যেতো।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ বাংলানিউজকে জানান, ওখানে লেবু চাষ হয়েছে আমি জানতে পেরেছি। লেবু চাষ নিয়ে বা অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেনি কেউ। যদি আসে তবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।      

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।