কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর (২০১৮-১৯) আমন, আউশ, বেরো মিলিয়ে প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছিল বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে শুধু আমন হয়েছিল প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে, যা চলবে চলতি মে মাসের শেষ পর্যন্ত। এবারে বোরোর ভালো ফলনের কারণে উৎপাদন ছয় লাখ মেট্রিক টনের বেশি আশা করা হচ্ছে।
অপরদিকে গত বছরের চেয়ে এবার ৬৩ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর, যা গত মৌসুমে ছিল ১ লাখ ৮১ হেক্টর। সে হিসাবে এবারের উৎপাদন বেশি আশা করাটাই বাঞ্চনীয়। ফলে যেখানে গত বছর ৪ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আউশ উৎপাদন হয়েছিল, এবার সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উৎপাদন সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল অঞ্চলে আমন প্রধান ফসল ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যয়ের কারণে এখানকার কৃষকরা বহুমাত্রিক ফসল চাষে যেমন ঝুঁকেছেন, তেমনি আমনের পাশাপাশি বোরো আর আউশ উৎপাদনেও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান ঘরে তুলতে না তুলতেই দক্ষিণের অনেক কৃষক এরইমধ্যে আউশ আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে নেমে পড়েছেন। আবার কৃষি বিভাগ বীজ ও সার প্রণোদনা দিয়েও কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছে।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কৃষক সুলতান হাওলাদার জানান, বিগত সময়ের চেয়ে এবার বোরোর আবাদে উৎপাদন ভালো হয়েছে। কাটার শ্রমিক সংকট কিছুটা থাকলেও বাজার দর ভালো। তাই এ পর্যন্ত যা কেটেছেন তা বিক্রি করে দিয়েছেন। আর সামনে যা কাটবেন তা নিজেদের খাওয়া ও বীজের জন্য রেখে দেবেন।
আর গোটা দেশের মোট উৎপাদনে বরিশাল অঞ্চল বড় ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের বরিশালের উপ-পরিচালক তৌফিকুল আলম। গতবারের চেয়ে এবারের উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এমএস/এফএম