বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট খাতে বিশেষ করে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আয় ছিল ৬ হাজার ৪১৮ কোটি ৭২ টাকা। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ২৯০ কোটি ৪০ লাখ টাকায়।
পাট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পাট খাতের রপ্তানি আয়ে এখন সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে পাটজাত পণ্য। একসময় কাঁচা পাটের অবদান খুব ভালো হলেও ক্রমেই তা অবনতি হচ্ছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক কাঁচা পাটের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। সেখানে পাটজাত পণ্য বেশ ভালো করছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট উৎপাদন ছিল ৭৫ লাখ ৫ হাজার বেল। যা পরবর্তী অর্থবছরগুলোতে ছিল যথাক্রমে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮৫ লাখ বেল, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯২ লাখ বেল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৭৩ লাখ ১৫ হাজার বেল।
অন্যদিকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ১ হাজার বেল এবং আয় ছিল ৮১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১১ লাখ ৭৪ হাজার বেল বিক্রি করে আয় ছিল ১ হাজার ৫০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পরের বছর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের রপ্তানি হয়েছিল ১৬ লাখ ৩৯ হাজার বেল। যা থেকে আয় আসে ১ হাজার ৩৪২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার বেল বিক্রি করে আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ লাখ ২৫ হাজার বেল রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৮৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার বেল রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা, পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬ হাজার ৪৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ হাজার ৮০১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এদিকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি কালীন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাট খাতের এ অর্জনের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি