ঢাকা: বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (২৯ জুলাই) সরকারি বাসভবন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে তিনি এ নির্দেশ দেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতি কমাতে ইতোমধ্যে কৃষির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৮টি জেলার চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বীজ, সারসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রম বেগবান, তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য ১২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের ঈদের পরদিন থেকেই বন্যা প্লাবিত এলাকার কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে অনলাইন মিটিং, সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি ও মনিটরিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৃষিসচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, কৃষির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মহামারি করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই খাদ্য উৎপাদনের বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখা এবং তা আরও বাড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও চলমান বন্যার কারণে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায়ও তারা কৃষকের পাশে থেকে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন ১৭টি সংস্থা/দপ্তরের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু।
বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. এসএম নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২০
জিসিজি/এএ