মাগুরা: ছয় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় ফসলের মাঠের চিত্র। এর ধারাবাহিকতায় একসময়ের সবুজ মাঠ হয়ে যায় হলুদ।
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এ মৌসুমে সরিষার চাষ করা হয়েছে। চারিদিকে এখন শুধু হলুদ সরিষা ফুলের বর্ণিল সমারোহ। মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ। মৌমাছির গুন গুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ধেয়ে চলার অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন বেঙ্গা বেরই এলাকার ফসলের মাঠ। সরিষার ফুল যেন দিক-দিগন্ত রাঙিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতি যেন হলদে শাড়ি পরা তরুণীর সাজে সজ্জিত হয়ে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
এদিকে মৌ খামারিরা সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির চাষ করছেন। সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণসহ ফলন বাড়ায় বাড়তি আয় হচ্ছে কৃষকের। তবে এ বছর চাহিদা কম থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক ইস্রাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি ও তার ভাই মৌ খামার করছেন। এ বছর মধু উৎপাদন ভাল হচ্ছে কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি কম। করোনা মহামারির কারণে অন্য জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মধু কিনতে আসছেন না।
মাগুরা কেশব মোড় এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারেলে মৌ খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশাকরি।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর। করোনার কারণে মৌ খামারিদের মধু বিক্রি কম হচ্ছে। তবে শীতের তীব্রতা একটু কমে গেলে মধু বিক্রি বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
কেএআর