মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার শহরের ‘সিকন্দর আলী সড়ক’র পুনঃনামকরণ করা হয়েছে। পুনঃনামকরণ করে ‘খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী সড়ক’ করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তানের নামকরণ করা দুটি সড়কের সংস্কার কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়।
এর একটি হলো- সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক এবং আরেকটি খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী সড়ক। এ উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার পৌরমেয়র ফজলুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রম্যলেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা এবং লেখক সৈয়দ মুর্তাজা আলীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার সৈয়দ রুহুল আমীন। তিনি এবং খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী নাতি।
এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. এম এ আহাদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল খালিক, লেখক ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘সিকন্দর আলী সড়ক’র নাম আগে যার নামে করা হয়েছে সেটা অসম্পূর্ণ ছিল।
খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী একজন কৃতি পুরুষ। আমরা পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নিয়ে ‘খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী সড়ক’ পুনঃনামকরণ করেছি। একই সঙ্গে সড়কটিও সংস্কার শেষে আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। সেসঙ্গে খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী সাহেবের ছোট ছেলে আরেক কৃতি পুরুষ প্রখ্যাত রম্যলেখক সৈয়দ মুজতবা আলী নামে নামকৃত ‘সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক’ সংস্কার শেষে আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলীর নাতি সৈয়দ রুহুল আমীন বেবী।
সৈয়দ মুজতবা আলী হলেন খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলীর ছোট ছেলে।
জানা যায়, খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী মৌলভীবাজার মিউনিসিপালিটির তৎকালীন কমিশনার, সরকারি চাকরিজীবী ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তার তিন ছেলে সৈয়দ মোস্তফা আলী, সৈয়দ মুর্তাজা আলী ও বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী এবং কন্যা সৈয়দা হাবিবুন্নেছা বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক ছিলেন।
মৌলভীবাজার শহরে তাদের বংশ পরষ্পরায় বসবাস। সদর উপজেলার দুর্লভপুর এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আগে থেকেই খান বাহাদুর সৈয়দ সিকন্দর আলী ও তার ছেলে সৈয়দ মুজতবা আলীর নামে সড়ক ছিল। বর্তমান পৌরমেয়রের উদ্যোগে এ সড়ক দুটির সৌন্দর্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
বিবিবি/এএটি