ঢাকা: শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখা গ্রন্থ ‘শহীদ কবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের জীবন ও মৃত্যু’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেনদিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিন, কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভার্চুয়ালি ভিডিওর মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রন্থটির প্রকাশক ও স্বদেশ শৈলীর কর্ণধার আমেরিকা প্রবাসী
অ্যান্টনি পিউস গোমেজ। এরপর সেলিনা পারভীনের ওপর স্মৃতিচারণ করেন মেহেরুন ইসলাম কঙ্কা।
গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিন তার অগ্রজের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন। তিনি সেলিনা পারভীনের সঙ্গে বিভিন্ন স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার কথা শোনান।
কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্য সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, পাণ্ডুলিপিটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছে কত অপূর্ণতার বাধা উপেক্ষা করেও সেলিনা পারভীন তার অভীষ্টে পৌঁছাবার লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দেশের প্রতি তার ত্যাগ আমাদের গর্বিত করে।
তিনি বলেন, সেলিনা পারভীনের সম্পর্কে বিশদভাবে জানানোর জন্য তার অনুজ, গ্রন্থটির লেখক শেলী শাহাবুদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেই সঙ্গে বইটি প্রকাশের জন্য স্বদেশ শৈলীকে ধন্যবাদ।
বক্তারা সেলিনা পারভীনের জীবন পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। এরপর বক্তব্য ও স্মৃতিচারণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন শেষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
শহীদ কবি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অগ্রগামী সৈনিক। সেই বছর ১৪ ডিসেম্বর আল বদর বাহিনী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করা হয়। পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ১৮ ডিসেম্বর আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমকে/আরএইচ