ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জসীম উদ্দীন ও মনসুরউদ্দীনের ধ্যান-জ্ঞান ছিল বাংলার লোকমানস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
জসীম উদ্দীন ও মনসুরউদ্দীনের ধ্যান-জ্ঞান ছিল বাংলার লোকমানস

ঢাকা: বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেছেন, কবি জসীম উদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের ধ্যান-জ্ঞান ছিল বাংলা ও বাঙালির লোকমানস। তাদের সৃষ্টিতে এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন অনুপম মমতায় ভাস্বর হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি আয়োজিত একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন এবং কবি জসীম উদ্দীনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘জসীম উদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন: উদ্বোধন ও আরোহণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, জসীম উদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন উভয়ই বাংলার লোক-আত্মাকে ধারণ করে সারা জীবন শিল্পচর্চা করেছেন। তাদের সৃষ্টির নানা মাত্রিকতা বাংলার শিল্পসংস্কৃতির ভুবন সমৃদ্ধির শিখর স্পর্শ করেছে।

‘জসীম উদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন: উদ্বোধন ও আরোহণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে নাসির আলী মামুন বলেন, জসীম উদ্দীনের নকশীকাঁথার মাঠ, সোজনবাদিয়ার ঘাট-সহ তার কবিতা, গদ্য, গান, ফোকলোর এবং সামগ্রিক জীবনচর্যায় লোকমানস অপূর্ব ব্যঞ্জনায় ফুটে উঠেছে। অপরদিকে মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের সংগৃহীত ও সম্পাদিত হারামণি বাংলার লুপ্ত লোকজ সম্পদের অমলিন ভাণ্ডার। তাদের স্মরণ ও চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের সন্ধান পাই।

রাজীব কুমার সরকার বলেন, জসীম উদ্দীন এবং মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের লোকজ বীক্ষা আমাদের শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনকে প্রসারিত করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।