ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘যে জীবন আমার ছিল’। এক অর্থে এটি ইমদাদুল হক মিলনের আত্মজীবনী, আরেক অর্থে স্মৃতিকথা।
বইটি নিয়ে লেখকও বলছিলেন ঠিক তেমন কথা। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘যে জীবন আমার ছিল’ গল্প-উপন্যাস নয়; আমার আত্মজীবনী। ছেলেবেলা থেকে শুরু করে এখনকার জীবন এসেছে এ গ্রন্থে। তবে অন্য আত্মজীবনী যেমন হয়, তেমন ধারাবাহিকভাবে নয়। বইটা পড়তে গিয়ে কখনো আমার বর্তমানে, কখনো অতীতে চলে যাবেন পাঠক। আমার দেশ-বিদেশের জীবন, আমার সঙ্গে লেখকদের সম্পর্কের কথা পাওয়া যাবে এ গ্রন্থে। বিশেষ করে এ গ্রন্থের মাধ্যমে পাঠকরা নতুন করে পরিচিত হতে পারবেন বিভিন্ন লেখকদের সঙ্গে। চারপাশের ঘটনা, যাপিত জীবন ও বিশেষভাবে আমার লেখক জীবনের কথাই উঠে এসেছে এ বইটিতে।
‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থে ইমদাদুল হক মিলন তুলে ধরেছেন শৈশব-কৈশোর থেকে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তার জীবনের বহুবর্ণিল আখ্যান। লেখক জীবনের শুরু থেকে যেসব লেখক-কবির স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন, সেসব লেখক-কবির কথা এ গ্রন্থে চিত্রিত করেছেন মোহনীয় ভাষায়। আর আছে এক লেখক জীবনের দীর্ঘ যাত্রার গল্প।
লেখকের মতে, এ বছর আমার লেখক জীবনের ৫০ বছর। আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। সেখান থেকে একজন লেখকের ৫০ বছরের পথচলা কেমন ছিল, সেটিও জানবেন পাঠকরা। বিশেষ করে আমার মতে এটি নতুন লেখকদের জন্য একটি দারুন গ্রন্থ।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে, তখনকার ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম গল্প ‘বন্ধু’। প্রথম উপন্যাস ‘যাবজ্জীবন’ ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল বাংলা একাডেমির ‘উত্তরাধিকার’ সাহিত্য পত্রিকায় ১৯৭৬ সালে।
এরপর দেশ-বিদেশে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘একুশে পদক’। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। ২০১২ সালে ‘নূরজাহান’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন ভারতের আইআইপিএম সুরমা চৌধুরী স্মৃতি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া সাহিত্য জগতে রয়েছে তার অসংখ্য অর্জন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি