ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

পথ দেখানো ধ্রুবতারা ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
পথ দেখানো ধ্রুবতারা ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান

ঢাকা: বিংশ শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত লেখক ও কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান। একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি।

মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসেবেও ছিলেন সমধিক পরিচিত। ''ক্রীতদাসের হাসি'' এই লেখকের প্রসিদ্ধ উপন্যাস। আর অনুবাদেও শওকত ওসমান ছিলেন সিদ্ধহস্ত।

রোববার (১৪ মে) কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে আয়োজনেই শওকত ওসমানকে নিয়ে এমন কথা বলেন বক্তারা। সভার আয়োজন করে কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শওকত ওসমানের ছেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. দিপু সিদ্দিকী।

অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ বলেন, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত লেখক ও কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান। একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসেবেও ছিলেন সমধিক পরিচিত। সাহিত্য সাধনা ছাড়াও কথাশিল্পী শওকত ওসমান একজন বিবেকবান মুক্তবুদ্ধির ব্যক্তিত্ব হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিত।

তিনি বলেন, এই লেখকের নামে যে ঢাকার একটি সড়ক নামকরণ করা হয়, সে বিষয়ে সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এছাড়া জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সেমিনার করা হয়, সেই ক্যালেন্ডারে আজ থেকেই শওকত ওসমানের নাম তোলা হবে। আর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধিনে একটি ইনস্টিটিউট টাইপ কিছু করার ব্যবস্থা হবে যেন সবাই তার সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে পারে।

বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমার বাবা আজীবন শোষকের বিরুদ্ধে ছিলেন। তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি পাকিস্তান আমলে শোষিতের কথা বলেছেন। 'ক্রীতদাসের হাসি' সর্বকালের স্বৈরশাষকের বিরুদ্ধে গণজাগরণের দিশারী। 'ক্রীতদাসের হাসি' উপন্যাসে রুপকের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের বাঙালিদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি আমাদের সৎ হতে শিখিয়েছেন। তিনি একদিকে যেমন মানবপ্রেমী মানুষ ছিলেন, তেমনি ছিলেন পথ দেখানো ধ্রুবতারা।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী ছিলেন শওকত ওসমান। ‘ক্রীতদাসের হাসি' এই লেখকের প্রসিদ্ধ উপন্যাস। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জ্ঞানী এবং বড় মাপের একজন মানুষ। এই সব জ্ঞানী ব্যক্তিত্বদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য সমাজের সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।