ফরিদপুর: ফরিদপুরে ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী, বরেণ্য কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার (২০ জুন) স্থানীয় মুলিম মিশন কার্যালয়ে কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদটির সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ।
অনুষ্ঠানে কবি সুফিয়া কামালের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোচনা করেন প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মফিজ ইমাম মিলন, সাবেক কালচারাল অফিসার মো. আলউদ্দিন, মৃণাল সেন চলচ্চিত্র চর্চাকেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মৃধা রেজাউল করীম ও ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আইয়ুব প্রামাণিক।
এ সময় কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি জসীমউদ্দিন কলেজের প্রভাষক জাকিয়া সুলতানা শিল্পী ও কবি নিলুফার ইয়াসমিন রুবি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে কবি আলীম আলরাজি আজাদ, মাকসুদা খানম, মুক্তা খান, নাফিজা ইয়াসমিন ও শরীফ মাহমুদ সোহান কবি সুফিয়া কামালের লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান।
সুফিয়া কামাল ২০ জুন ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের বাকেরগঞ্জ জেলার শায়েস্তাবাদে মামার বাড়ি রাহাত মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত বাঙালি মুসলমান জমিদার বংশের মেয়ে ছিলেন, যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তর্গত শিলাউরের সৈয়দ বংশ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি সাত বছর থাকতে, তাঁর বাবা সৈয়দ আব্দুল বারী ওকালতি চাকরি এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে সন্ন্যাসী-সুফি হয়ে যান। তাই সুফিয়া তাঁর মা সৈয়দা সাবেরা বেগমের সঙ্গে মামার বাড়িতেই বড় হন। সুফিয়ার নানা খান বাহাদুর নবাব সৈয়দ মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন একজন জমিদার এবং বিখ্যাত ম্যাজিস্ট্রেট।
সুফিয়া কামাল ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন। প্রতি বছর এই দিনটিতে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়।
২০ জুন ২০১৯ তাঁর ১০৮তম জন্মদিন উপলক্ষে গুগল ডুডল তৈরি করে সম্মাননা দেয়।
সুফিয়া কামাল দেশ-বিদেশের ৫০টিরও বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার, সোভিয়েত লেনিন পদক, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এসআরএস