আজ ১২ জুলাই, ৩৭ বছরে পদার্পণ করল ‘পাঠক সমাবেশ’। ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে যাত্রা শুরু করে এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি।
দীর্ঘ পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অসংখ্য পাঠক-লেখক-ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে।
পাঠক সমাবেশের জন্মবার্ষিকীতে সবার প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
পাঠক সমাবেশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঠক সমাবেশ একটি প্রকাশনার নাম। একটি আন্দোলনের নাম। বই ভিত্তিক একটি সংস্কৃতি কেন্দ্রের নাম। এটি বাংলাদেশের বইপ্রেমী শিশু-শিক্ষার্থী, যুবা-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, জ্ঞানপিপাসু শিক্ষক-গবেষক, সাহিত্যানুরাগী, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন জনসাধারণের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেওয়া একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান, যার ব্র্যান্ড নাম ‘পাঠক সমাবেশ’।
১৯৮৭ সালে ছোট্ট একটি বইঘর নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সূচনা। আজ দীর্ঘ ৩৭ বছরের পথপরিক্রমায় প্রতিটি প্রকাশনার অঙ্গসৌষ্ঠব এবং উপস্থাপনায় উচ্চ গুণমান সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারে অবিচল থেকে পাঠক সমাবেশ ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল প্রতিভাসমূহের রচনাবলি মলাটবন্দি করেছে। পাঠক সমাবেশ তার যাত্রাপথে সর্বস্তরের পাঠকদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহানুভূতি যেমন পেয়েছে, তেমনই পেয়েছে প্রকাশনায় উচ্চ গুণমান সমুন্নত রাখার স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি প্রকাশনায় আরও উৎকর্ষ সাধন ও উচ্চতর মান অর্জনে পাঠক সমাবেশকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
শুধু বইপ্রকাশ নয়, পাঠক সমাবেশ বই পড়ায় আগ্রহ তৈরি এবং পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শাহবাগ ও কাঁটাবনে অত্যাধুনিক সুবিধাসমন্বিত দুটি আউটলেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাঠক-বান্ধব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পাঠক সমাবেশ বিশ্বাস করে, এটি বিশেষ করে, নতুন প্রজন্মকে মাদকাশক্তি ও পাঠবিমুখতা থেকে ফিরিয়ে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের অনুঘটকরূপে ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে।
পাঠক সমাবেশ বইয়ের সংখ্যার চেয়ে মান ও বিষয়বৈচিত্র্যের প্রতি অধিকতর মনোযোগী। ‘আমরা বই ছাপি না, বিষয় ছাপি’—প্রধানত এ নীতির আওতায় পাঠক সমাবেশ দেশ ও বিদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, রাজনীতি, সমাজবিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, দর্শন, নন্দনতত্ত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, নারীর সমাজ-ইতিহাস, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, থিয়েটার, সংগীত, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, বিশ্বসাহিত্য, অনুবাদসাহিত্য, প্রবন্ধ সংকলন, রচনাসমগ্র, আত্মজীবনী, সাক্ষাৎকার, মুক্তিযুদ্ধ, সমকালীন বাংলাদেশ ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ প্রকাশ ও পরিবেশন করে থাকে।
পাঠক সমাবেশ বিশ্বসেরা প্রকাশকদের সঙ্গে চুক্তি করে বই বিপণনের ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের ধারার সূচনা করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস ইন্ডিয়া এবং পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস এর সঙ্গে সারা বিশ্বে নির্বাচিত বইয়ের যুগপৎ মার্কেটিংয়ের জন্য পাঠক সমাবেশের ‘কো-পাবলিকেশন’ চুক্তি রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একই দিনে বই রিলিজের চুক্তির আওতায় বেস্ট সেলার বই বাংলাদেশি পাঠকদের কম দামে পাওয়া নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের প্রাচীন পাবলিশার অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস এবং অপর শীর্ষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পেঙ্গুইন-এর সাথে পাঠক সমাবেশ-এর লোগো পাশাপাশি বসিয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশেরই অহংকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩