ঢাকা: এসে গেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৫।
রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলা এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন শেষে গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করবেন তিনি।
এবারও মেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বরে দুভাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ২৯৫টি বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৪৭৫ ইউনিট স্টল পায়েছে। এর মধ্যে ১৩৭ প্রতিষ্ঠানকে ১ ইউনিট, ১০৩ প্রতিষ্ঠানকে ২ ইউনিট এবং ৪৪ প্রতিষ্ঠানকে ৩ ইউনিট ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ ইউনিট এবং ১০টি প্রতিষ্ঠানকে প্যাভিলিয়ননের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে মূল একাডেমি অঙ্গনে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর মেলায় মোট ৩শ’ ৫১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে যাচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে মোট ৫শ’ ৬৫টি ইউনিট ও ১১টি প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের খেলাধুলার জন্য একটি বিনোদন কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মেলাকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের মেলা।
আর্ন্তজাতিক মানের বিদেশি লেখকরা থাকছেন মেলায়। এবার ১০টি দেশের মোট ৪২ জন বিদেশি লেখককে বইমেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিবারের মতো এবারও মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হবে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এবার মেলায় রয়েছে দু’টি লেখক কুঞ্জ।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিস্মৃতপ্রায় বিশিষ্ট বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্ম নিয়ে হবে এ আলোচনা। এছাড়া, মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৪ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সংগীত, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। শিশুদের জন্য মাসব্যাপী এ মেলায় এবার ৪ দিন শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে।
বইমেলায় আসা মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুরো মেলা প্রাঙ্গণে এবার থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তিনটি কন্ট্রোল রুম। এর মধ্যে দু’টি পুলিশ সদস্যদের জন্য ও একটি র্যাব সদস্যদের জন্য।
মেলা প্রাঙ্গণে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য রাখা হবে। ৫০ সদস্য বিশিষ্ট একটি আনসার টিমও মেলায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে। পুরো মেলায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে মোট ৭০টি সিসি ক্যামেরার লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫