ইকরা
‘পড়ো, তুমি করো পাঠ’ : প্রথম অনুজ্ঞা ছিল এই;
করো পাঠ অস্তিত্ব তোমার;
তোমার আমিকে পড়ো, কামনাকে পাঠ করো, আর
দ্যাখো ক্রোধে হয়েছ কেমন এলোমেলো।
পড়ো, তুমি করো পাঠ : কী করে পড়বো আমি, সাঁই?
কেবল বাইরে দেখি, দুই চোখ বন্ধ করে নিজেকে চিনতে শিখি নাই।
২৬ জুলাই ২০০৪
অনন্য
তুমিই অাশেক তুমিই মাশুক
প্রজাপতি নাড়ে দুই ডানা;
লাইলি তোমারই প্রণয়ে ব্যাকুল
কায়েসও তোমার জন্য ফানা।
তুমিই কৃষ্ণ তুমি সে রাধিকা
যমুনায় তুমি নিবিড় ঢেউ,
তুমিই পুষ্প তুমি মৌমাছি :
নাই কিছু আর অন্য কেউ।
১৭ মার্চ ২০০৫
কম্পন
পায়ে নূপুরের শব্দ তুলে সে হেঁটে এল
নিতম্বে গূঢ় হিল্লোল তুলে গেল সে ফিরে,
ঈশ্বর এক মহাতরঙ্গ
আপন রাজ্য আপনাকে দিয়ে রেখেছে ঘিরে।
কামনার ঘোরে ডুবে ভুলে যাই চেহারা তাঁর,
কামনায় নিরাকার সে জাগে,
নিষ্কামনার স্তব্ধ হ্রদে সে নীল শতদল
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তাঁর কাঁপন দেখতে দারুন লাগে।
১৯ মার্চ ২০০৫
যিশু
প্রতিমায় তুমি নাই, তবু তুমি থাকো আইকনে :
যেমন কথায় নাই, অথচ শব্দে থেকে যাও;
দুহাত ছড়িয়ে দিয়ে আমার শরীরে পাই টের
তোমার চিহ্ন রেখে যাও।
খোলা চোখে তুমি নাই, চোখ মেলে দেখি আমি তবু
তোমার করুণাময় নদী
প্রেম হয়ে বয়ে যায় শিশু ও নারীর মমতায়
আমাকেও প্রেম দিতে যদি!
২৩ জুলাই ২০০৪
ব্রহ্মমূর্ধা
যদিও বাতাসে খাচ্ছে পাক
আজ সবার নিন্দাবাদ,
যেহেতু ধরেছি হাত তোমার
দিই স্লোগান : জিন্দাবাদ।
কেন থরো থরো প্রাণ আমার
যার বোঝার সেই বুঝুক,
যেহেতু সকলে খায় না মদ
তৃষ্ণা যার সেই খুঁজুক।
২৮ এপ্রিল ২০০৯
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫