কুমির বাগান
আমাদেরও কিছুটা পর্যটকের স্বভাব ছিলো হয়তো। তাই কুমির বাগানে বেড়াতে গেলাম।
ফুলতোলা জামা
ঝুলে আছে ফুলতোলা জামা। আমরা তার নিচে দাঁড়িয়ে যে দীর্ঘ বন এবং বনের মৌমাছির ঘ্রাণ পাই, তা এখানকার নয়। আরো কিছুটা জলের। আরো কিছুটা ভূমির। আমরা জামার খুলে যাওয়া সুতো বুনে দিতে দিতে জল আর ভূমিলগ্ন যে শূন্যতা, তার নিবিড় মোহের ভেতর ঢুকে যাই। মোহের নিজস্ব যেসব রন্ধ্র, তার অতীতে দাঁড়িয়ে খুঁটে খাই মৌমাছির মধু। মধু মৌমাছির জ্ঞান। জ্ঞানের ভেতর কিছুটা রক্ত। আমরা রক্তকে জ্ঞান বিচ্ছিন্ন করতে করতে পৃথিবীর বাইরে পা টেনে দিই এবং বুঝি, এইখানে এই জ্ঞান, রন্ধ্র অথবা রক্ত যাই বলি না কেন সবই মূলত ফুলতোলা জামার ছায়ার পরিসর। রোদ উঠলেই ভেঙে যাবে। একটুপরে।
লাল বল
মা বললেন, তুমি নিশ্চয় ঝাড়বাতি ভালোবাসো এবং শ্যাডো-ল্যাম্প। আমি হ্যাঁ বললাম এবং সেই রাতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের ভেতর আবিষ্কার করলাম আমি একটা পর্বতচূড়ায় বসে আছি। বরফের পর্বত। তাই শাদা। সেই শাদা পর্বতের চূড়ার উপর থেকে লাল বল গড়িয়ে দিচ্ছি নিচের দিকে। নিচে আমার মা। ঝাড়বাতির নিচে এবং শ্যাডো-ল্যাম্পের অপজিটে। ফলে তার চোখ দেখা যাচ্ছে না। তিনি তার সেই দেখা না যাওয়া চোখে আমার পরপর গড়িয়ে দেয়া লাল বল গুনছেন; একটা একটা করে।
দায়ুস লেখা
আপনি আপনার হাতের সমস্ত খেলনাগাড়ি বাইরে ফেলে দিয়ে সময় করে একবার আপনার নিজের কপালে তাকাবেন। যদি পড়তে শিখে থাকেন, পড়তে পারবেন, দায়ুস লেখা। দায়ুস মানে পাপী। আপনি হাতঘড়ির সাথে সাথে গলায় সাপ জড়িয়ে রাখেন বলে। এরপর মানুষ একদিন যখন তার সকল হাতঘড়ি সমুদ্রে ফেলে, তীরে এসে দাঁড়ালো। আমরা অবাক হলাম। তার চেহারার সাথে সাপের মিল আছে খুব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫