অহমিকার সাপ
ভুলের মগ্নতা ভেঙে উড়ে যায় পাখি, শামুকের মগজে রক্তকমল এক রাত আসে, সেও ভুলে যায় রোদ্দুর রঙ। আমি ঝরে পড়ে যাওয়া এক গাছের ডাল হয়ে কোলাহল থেকে দূরেই থাকি।
গল্পের ভিতরে ঢুকে গেছে এখন, অহমিকার সাপ!
ঝুমকোজবা
এ সোডিয়াম নগর জানে না
শুধু যমুনার বরফচাপা ঢেউগুলো জানে
সন্ধ্যার অন্ধকারে ঝিমিয়ে পড়া উদ্ভিদগুলো জানে, কালো সারসগুলো জানে, অতখানি জঙ্গলের পথ পেরিয়ে কেন এলাম, এই মরা শামুক ঝিনুক বিছানো পথে।
সেকি শুধু সিলিং ফ্যানের বাতাসে বেণীর গোপন ভাঁজ খুলব বলে? মিথ্যে ভিড়ের পেছনে হাঁটব বলে? পানকৌড়ির ছানার মতো মুখস্থ ঠিকানায় মুখ লুকাব বলে? বিস্বাদ রাতের লোনা শরীর ছেনে, শ্রাবণ রজনীতে শহরতলীর একটি চাঁদ, দেখব বলে?
টেলিফোন বেজে ওঠে। বলে, উদ্বাস্তু হতে! ছন্নছাড়া মেঘ বলে, কাঙালের মতো তুমিও পুষে রেখেছো, প্রান্তরের ছায়া, পাললিক মাটির ঘ্রাণ, ধোঁয়াওড়া মাঠ আর জারুল গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়া
ফাল্গুনের বিকেল?
এখনো গভীর অন্ধকারে রেখেছো, মুখ গুঁজে?
প্রতিটি জানালায় দ্যাখো, ঝুমকোজবা ফুল হয়ে দুলছে, কুয়াশা কুয়াশা!!
আমি প্রবাহিত মানুষের নষ্ট পঁচন হতে চাই না। আমাকে প্রাচীন ডুবোপাহাড়ের বুকে বসবাস করা নীল প্রজাপতি করে দাও
বিপর্যের গোধূলিকাল ভেঙে, আমাকে হলুদ পাতার গাছগাছালি করে দাও।
সিঁড়িতে মেঝেতে, শেকড়বিহীন ঘাসফুল করে রেখো না। তারচে’ আমাকে করে দাও
রাশি রাশি দোপাটি ফুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫