আমরা কি কেউ
আমাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দাঁড়িয়ে থাকে অন্ধ এক ছায়াঘরে। দীর্ঘ জৈবকলে
কেটে যাচ্ছি আমরা—এখানে দুঃখের মতো আশ্চর্যিত এক ঘ্রাণে শুক্রাণুর
দীর্ঘশ্বাসগুলো অ্যাশট্রেতে জমা রাখি...
আমরা কেউ না।
পৃথিবীর বোঝা হয়েই ‘আমরাও যে কেউ’ তা প্রমাণে নেমে পড়ি...
স্কুলে ভর্তি হই। ছোট ছোট হাত-পায়ের মাফ দিয়ে ইউনিফর্ম বানাই। আর
দিনকে দিন সেই ইউনিফর্মটাকেই বড় করবার ভুল দায়িত্ব কাঁধে করে বেড়ে
উঠি...
আমাদের সাথে আমাদের কখনো দেখা হয় না। উড়ো কথার ভিড়ে, বাসের
হ্যান্ডেল ধরে ঘামতে ঘামতে কিংবা পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে যাদের সাথে
দেখা হয়—তারা আমরা না!
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আমাদের ভেংচি কেটে যায়। আমরা কেউ না। নতুন করে দীর্ঘ
রাতরতিক্রিয়ার পলকা কৌতূহল মাত্র!
জন্ম বলতে আদৌ কিছু নেই, মৃত্যু বলতেও কিছু নেই! আমরা আমাদের জন্ম দেখি
নি, আমরা আমাদের মৃত্যুও দেখব না। পুরোটাই ঢপ!
আদৌ আমরা কি কেউ ছিলাম?
প্রত্যানয়ন
দেয়ালের ভেতর থেকে জন্ম নেয় এক ছাতিম গাছ। আমি তার ছায়ায় চিৎ হয়ে
তাকিয়ে থাকি সিলিংয়ে—জীবন আর রড লাইটের চোখ পরস্পরকে গালি দিচ্ছে—
বাইঞ্চোৎ কোথাকার!
মানুষের এই দৃশ্যগুলো আসলে অপ্রাসঙ্গিক—জীবন বলতে আদৌ কিছু নেই! আঙুলের
ওপরে বেয়ে ওঠা পোকা—অজানা ভ্রম—জুতো পায়ে বেরিয়ে পড়েছি সবাই—
তারপরে শুধু সবকিছু ভেতরে টেনে নিয়ে স্রেফ বের করে দেবার নৈমিত্তিক
সেলুলয়েড!
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৫