মুক্তির শ্লোগান
চূর্ণ করছি ধুলোয়;- দুঃখী অপরাহ্ন
মর্মমূলে আলো— অন্তরাল ব্যাহত করে না
নাবিকের কম্পাস
...সমাপ্তিরও আগে শরীরের ব্রহ্মতেজ
আকাঙ্খার চেয়ে চিরসত্য
আদি ও অনন্য কিছু নাই
প্রতিটি কম্পনে চাই বিস্ময়ের ছোঁয়া
হাড়ের ভেতর মুক্তির শ্লোগান
চূর্ণ করছি ধুলোয়;- দুঃখী অপরাহ্ন
ও ধুলোর ফুৎকার— তুমি
বিশ্বকে জানিয়ে দাও দিগ্ববিজয়ের ভাষা!
হোমপেইজ উইদাউট প্রোফাইল
উড়ন্ত সুখের দুধে চুমু খেতে
কখনো ছিল না দাবী—ব্যক্তিগত সম্পত্তির
অধিকন্তু তোমার চোখের সমুদ্রে ঢেউ হবো
এই অশেষ ইচ্ছায়
চতুর কৌশলে হারিয়ে দিয়েছি
পুরুষতন্ত্রের জয়ধ্বনি
মনে পড়ে, মনে আছে
কৃষ্ণচূড়া দিন...
চৈতিদহনেও যে ছিলাম
সুক্ষ্ম সৌন্দর্যবোধের আহ্নিক
অনুভব আজ প্রেমহীন, রঙহীন
নেই ভুল বোঝাবুঝি অনুরাগ
অনুতাপে নীথরে-নীরব মাঠ
চাই শরীরী বিপ্লব; দাঁড়াবে না কচিঘাস?
বুকের ভেতর উতল হাওয়া; স্বাগত সংরাগ!
হোমপেইজ ও প্রোফাইলে জীবন দৌড়াচ্ছে...
ফেইসযাদুতে দর্পণে তরঙ্গ
এলোমেলো বসন্ত বাতাস
কাকে ছেড়ে কাকেই বা ধরবো?
জানি না, এবেলা শরীর মনের চাইতেও হাল্কা।
দণ্ডিত পুরুষ
His main enemy is writing about self talk...
টেবিলে বসে নোংরামি করেছে শব্দের জগৎ
বন্ধুরা আড়ালে গিয়ে উপহাস করে বোকা ও গোঁয়ার বলে
দাঁড়ি কামাতে গিয়েই সহসা ব্লেড গেল পিছলে
হ্নদপিণ্ডও কি গেল কেটে?
ভালোবাসার নারীরাও আঘাত করেছে আঁতেল ভেবে
প্রেমহীনা অন্য সেই মেয়ে
আমাকে নামায় গলাজলে!
মেধার জলের আশেপাশে স্বপ্ন নিয়ে ঘুরি
কালো কোট-গাউন- টাই-বই-নথি...যুদ্ধজয়ে সঙ্গী
বাহ! পৃথিবীটা অদ্ভুত সুন্দর!
কমার্শিয়াল এরিয়ায় উপযুক্ত মোয়াক্কেল খুঁজে
মোস্তফা মহসীনের বয়সটাও বাড়ছে বুঝি?
হ্নৎকলম
তন্দ্রার গায়ে কেবলি নেশা লেগে
দেরি হয়ে যায় কাজে, দেরি হয় প্রেমে
স্বপ্নভূক নদী সমুদ্রে যাবে জলজ অনুরণে
সব পাপ ধোয়ে সব পাওনা ফিরিয়ে নিতে,
আমি বসে থাকি তার তীরে; মাঘী পূর্ণিমায়
সব ঋণ শোধ করে দিতে আমারতো—
সমুদ্র
হবার
কথা!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
।