আগুন-জল
এখানে নিশ্চিহ্ন সব—নীরবতা থেকে ধূলিঝড়
বায়ুকরিডর হয়ে স্মিতরোদে ঠাসা খ্যাপা-পাড়া,
বৃষ্টি-হেন সংঘবদ্ধ যৌনসন্ধ্যার মোমদীপ, জ্বর;
এখানে আগুনমাত্রই রোমহর্ষ, কম্পিত শিরদাঁড়া।
আগুনের তাড়া খেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি ঘোলাজলে,
উপযুক্ত গলনাঙ্ক ছুঁয়ে নামি পিচ্ছিল কুয়ায়,
মরিচার অন্তরালে লৌহধর্ম পাহারার ছলে,
কামারশালা থেকে দূরে, অন্ধকারে, রমণীগুহায়।
২.
আকাশ ছেয়েছে খুব কালো করে গানপাউডার মেঘে
ঝাঁপিয়ে নামবে আগুনবৃষ্টি, এক্ষুণি, এই বুঝি
মুষলধারায়, পাড়ায়-পাড়ায়, দ্বিধাহীন নিরাবেগে—
ফাঁকা পথঘাটে এই তাণ্ডব কী করে একলা যুঝি!
এই অঞ্চলে দুটো উদ্যান, তিনটে বিদ্যালয়
শত শত শিশু, পাখি-প্রজাপতি, গাছপালা আছে মাগো!
ওগো জল জাগো, ধরণীকে দাও আরবার বরাভয়,
ও বুড়িগঙ্গা, গুলশান লেক, ফায়ার ব্রিগেড জাগো!
শিল্পতৃষা,বিবমিষা!
অভিমান লিখে রাখছি বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
পানশালার ছলকে পড়া গুঞ্জনের মাঝে,
আর আলোহীনতার কালো কালো ভাঁজে
নিঃশব্দে-নিভৃতে ফোটা রজনীগন্ধায়।
জ্যোৎস্নাঘুমের ভেতর মেইলট্রেন ছুটে
যাচ্ছে স্বপ্ন-অধিকৃত শেষরাতের দিকে;
রাখছি হলুদ পাতায় প্রত্যাখ্যান লিখে—
তোমাদের নীরবতা—শূন্য করপুটে।
যে ফুল রয়েছে ফুটে দৃষ্টি-অগোচরে
পৃথিবীর কেউই যার নেবে না সুঘ্রাণ—
আমি সে একাকিনীর অন্ধ অভিমান
লিখছি সমালোচকের চোখের পাথরে।
দুঃস্বপ্নের চেয়ে কালো এই শিল্পতৃষা
আজ ভনভনে নীলমাছি, তীব্র বিবমিষা!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৫