ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সংসারের পিছুটান নিয়ে পর্যটক হওয়া যায় না

সাক্ষাৎকার ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
সংসারের পিছুটান নিয়ে পর্যটক হওয়া যায় না

শৈশবে কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু। পরে গল্প, নাটক, ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন অনেক।

বেতার, টেলিভিশন ও মঞ্চের জন্য নাটক লিখেছেন এক ডজন। টেলিভিশনের জন্য ফিকশন, নন-ফিকশন দু’ধরনের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। দেশ-বিদেশের ভ্রমণচিত্র নিয়ে বানিয়েছেন তিন শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র।

ছবি তুলে, নাটক-টেলিফিল্ম ও তথ্যচিত্র বানিয়ে দেশে-বিদেশে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। দেশভ্রমণ তাঁর একটি বড় নেশা। প্রায় ৩০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। নিজের জীবন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার কথাই লিখে থাকেন নানাভাবে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩২। এর মধ্যে ২০টি ভ্রমণকাহিনী, ৫টি আত্মজৈবনিক গ্রন্থ। এ ছাড়া আছে স্থাপত্য, আলোকচিত্র, নাটক ও ছোটগল্পের বই।

ব্যক্তিজীবনে শাকুর মজিদ একজন পেশাদার স্থপতি এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। গত ২২ নভেম্বর শাকুর মজিদের ৫০তম জন্মদিনে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে তাঁর মুখোমুখি হয়েছিলেন তানিম কবির



শুভ জন্মদিন! ৫০তম জন্মদিনে একজন মানুষের সাধারণত কেমন অনুভূতি হওয়া উচিত? আপনার ক্ষেত্রে কোনটা হচ্ছে?

এমনিতে ফুর্তি ফুর্তি লাগছে। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললাম। ‘পঞ্চাশোর্ধ’ ক্লাবের মেম্বার আমি এখন। আমার বাবাও এমন বয়স পাননি। শেক্সপিয়ার তো এই বয়সেই মারা গেছেন। আমার বয়েসী বা আমার চেয়ে ছোট কত লোক দুনিয়া কাঁপাচ্ছে, এটা ভাবলে মাঝে মাঝে একটু খারাপ লাগে। এই যা। কিন্তু এটা ভাবলেও ভালো লাগে যে বিগত ১০ হাজার বছর ধরে সভ্য মানুষের বাস এই পৃথিবীতে, কিন্তু বিগত ৫০ বছর ধরে মানুষজাতিরা যে ‘উন্নত’ জীবন যাপন করছে আমি তাঁর এক অংশীদার। আকবর বাদশা ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার জন্য হিমালয় থেকে উট দিয়ে বরফ আনাতেন, আমি ফ্রিজ খুললেই পেয়ে যাই। আমাদের সাধারণের জীবন যাপন আগের দিনের রাজা বাদশারাও পাননি। আমি ভাগ্যবান এবং কৃতজ্ঞ (শাকুর) যে আমাকে সৃষ্টিকর্তা এ পর্যন্ত তাঁর সৃষ্ট সবচে ভালো সময়টাতে পাঠিয়েছেন। এবং এ সময়ের সমস্ত সুযোগ সুবিধাগুলো আমি ব্যবহার করে যেতে পারছি। আমি আকাশে চড়তে পারি, ১৬ হাজার মাইল দূরে আমার বোনকে দেখে দেখে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারি। এ সময়ে জন্ম না হলে আমি এটা পারতাম না। এঞ্জয়িং মাই টাইম লাইক এনিথিং।

এটা তো গেল বয়সের জন্মদিন। লেখক হিসেবে আপনার জন্মদিন কবে, অর্থাৎ কবে কিভাবে প্রথম, কী লেখার মধ্যদিয়ে নিজেকে লেখক হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন?

খুব মনে পড়ে না, তবে গ্রামের স্কুলে পড়ার সময় নজরুলের কবিতা পড়ে খাতায় সেরকম কিছু লিখেছিলাম, কবিতা। সেগুলো কোথাও ছাপেনি। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে গিয়ে ১৯৮০’র ২১ ফেব্রুয়ারি দেয়াল পত্রিকায় একটা কবিতা লেখা হয়েছিল। ক্লাস টেন-এ পড়ার সময় কলেজের ইংরেজি সাহিত্য সাময়িকী Mirror-এ একটা গল্প বেরিয়েছিল Taxi Driver নামে। পরের বছর ‘প্রবাহ’তে বেরোয় ‘তখনো দাঁড়িয়ে’ নামক কবিতা। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় কলেজে মঞ্চস্থ করার জন্য একটা নাটক লিখেছিলাম—ফিফটি ফিফটি (রিডার্স ডাইজেস্ট-এ পড়া Half of you, half of me নামক একটা গল্প পড়ে এটা লেখা)। নাটকের শিক্ষককে এটা দেখালাম। তিনি ক্লাসে এসে বললেন, এই ক্লাসে একজন ‘নাট্যকার’ আছে। আমার নাম উল্লেখ না করেও আমাকে ইঙ্গিত করে এটা তিনি বলেছিলেন। এটা ছিল ‘নাট্যকার’ হিসেবে পাওয়া আমার প্রথম সম্বোধন। তিনি নাটক লেখা খাতাটা নাট্যসম্পাদককে দেন। আমার ক্লাসমেট ছিল নাট্য সম্পাদক। সে জানাল খাতাটি সে হারিয়ে ফেলেছে, খুঁজে পাচ্ছে না। এর সঙ্গে সঙ্গে আমার লেখা প্রথম মঞ্চনাটক বিলীন হয়ে যায়। সে বছর ওই নাট্য সম্পাদকের লেখা ও পরিচালনায় নাটক মঞ্চস্থ হয়। তবে এর পরের বছর কলেজের পাঠ চুকিয়ে গ্রামে ফেরত আসি এবং ১৯৮৫ সালে সিলেট বেতারে একটা রেডিও নাটক জমা দেই, নাম ‘যে যাহা করোরে বান্দা, আপনার লাগিয়া’। জমা দেয়ার ১৫ দিনের মাথায় রেজিস্টারি ডাকযোগে ‘রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার্য’ লেখা খয়েরি রঙের খামে সিলেট বেতার থেকে একটা চুক্তিপত্র আসে। সেখানে আমাকে ‘নাট্যকার’ সম্বোধন করে চিঠি লেখা হয়। এ নাটকটি যখন লেখা ও প্রচার হয় তখন আমার বয়স ২০।

আর ছাপার অক্ষরে?

ছাপার হরফে আমার কবিতা ও গল্প প্রথম ছাপে সিলেটের ‘যুগভেরী’ সাপ্তাহিক পত্রিকা, ১৯৮৪ সালে। শান্তানু আশকার (শাকুর শব্দের আরবি বহুবচন) নামে। ১৯৮৫ সালের ২৪ জুলাইয়ের পর থেকে শাকুর মজিদ নামে লেখা প্রকাশ হয়। বিভিন্ন পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত।

প্রথম ভ্রমণ কাহিনী লিখেছিলাম ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়। ৫ দিনের একটা শিক্ষা সফর নিয়ে লেখা। ৮ পাতার সাইক্লোস্টাইল করা পত্রিকার ৭ পাতা জুড়েই ছিল আমার ভ্রমণ কাহিনী। যে শিক্ষক এটার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি ক্লাস এইটের বাংলার ক্লাসে এখান থেকে কয়েক অনুচ্ছেদ পড়িয়ে শুনিয়েছিলেন। ক্লাস এইটের একজন আমাকে বলেছিল যে, স্যার নাকি বলেছেন, এই ছেলে যদি লেখালেখি করে, তাহলে সে বড় লেখক হবে।

কম্পিউটার কম্পোজ করা পত্রিকায় আমার প্রথম ভ্রমণ কাহিনী ছাপা হয় ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাসে পাক্ষিক অনন্যার ভ্রমণ সংখ্যায়। আমার প্রথম বিদেশ সফর, কলকাতার সফরের একটা অংশ ‘আনন্দবাজারে পঁয়তাল্লিশ মিনিট’ শিরোনামে। ১৯৯৭ সালে সনযুক্ত আরব আমিরাত সফর নিয়ে লেখা প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘আমিরাতে তেরোরাত’ প্রকাশ হয় ২০০৩ সালে।

যদিও টেলিভিশন নাটক হিসেবে ‘লন্ডনী কইন্যা’ আমি প্রথম লিখি ১৯৯৬ সালে, কিন্তু দ্বিতীয় লেখা ‘শেষ দৃশ্য’ প্রচার হয় আগে, ১৯৯৮ সালে। লন্ডনী কইন্যা প্রচার হয় ২০০০ সালে। এ নাটক প্রচারের পর এক শ্রেণীর সিলেটিদের রোষানলে পড়ে যাই। পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর লেখালেখি হয়। আমার নামটা বড় করে তখন ফাটে।

ভ্রমণ-লেখক হিসেবে ইতোমধ্যে আপনি বেশ প্রতিষ্ঠিত। তৃতীয় বিশ্বে ভ্রমণ-লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া তো প্রাথমিকভাবে একটা খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার। ভ্রমণ লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, অথচ ভ্রমণ করার মতো পর্যাপ্ত টাকা নাই যাদের; তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

ভ্রমণ করার জন্য সংসার-বিরাগী একটা মন লাগে সবচে বেশি। আমি বিদেশে অনেক পর্যটক দেখেছি বছরের পর বছর ধরে তারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের টাকা পয়সা নাই বললেও চলে। আমরা তো সে রকম পর্যটক নই, এ কারণে আমাদের টাকার হিসাব করতে হয়। সংসারের পিছুটান নিয়ে পর্যটক হওয়া যায় না। আর পর্যটনের জন্য বিদেশ সফরে গিয়ে যদি কেউ আয়েশ ও আরামকে গ্রাহ্য করে, তার সে পরিমাণ প্রস্তুতি নিয়েই যাওয়া উচিত। অবকাশ যাপনের জন্য অনেক অর্থের দরকার, পর্যটনের জন্য খুব বেশি লাগে না।

স্মৃতিচারণা ও আত্মজীবনীমূলক লেখালেখিতেও আপনি সমানভাবে সক্রিয়। আপনার লেখা ৮টি বেস্ট সেলার বইয়ের প্রথম চারটিই স্মৃতিচারণা ও আত্মজীবনীমূলক, যথাক্রমে—‘হুমায়ূন আহমেদ : যে ছিল এক মুগ্ধকর’, ‘ক্যাডেটের ডায়েরি’, ‘নুহাশপল্লীর এইসব দিনরাত্রি’ এবং ‘ক্লাস সেভেন ১৯৭৮’। ভ্রমণ-লেখক হিসেবে পরিচিত হয়েও অপর ঘরানার এ চারটি বইয়ের বেশি বিক্রি হবার পেছনের কারণ কী বলে মনে করেন?

আমি আমার জীবনাভিজ্ঞতাই লিখতে পছন্দ করি বেশি। আমার ভ্রমণ কাহিনী আর স্মৃতিকথাগুলো একই ধাঁচের। একসময় কয়েকটা গল্প লিখেছিলাম, কিন্তু এখন আর ফিকশন টানে না।   আমার লেখা ৩৪টি বইয়ের মধ্যে ২১টি ভ্রমণ কাহিনী, ছয়টি স্মৃতিকথা। আর সবচে বেশি বিক্রিত বইটি বোধহয় আমার জন্য নয়, হুমায়ূন আহমেদকে জানার জন্য মানুষ বেশি পড়েছে।

মঞ্চের জন্যও আপনি লিখেছেন। আপনার লেখা ‘মহাজনের নাও’ নাটকটি দেশ ও বিদেশের মাটিতে বহুবার মঞ্চায়িত হয়েছে, হয়েছে প্রশংসিত। মঞ্চের সঙ্গে জড়িত হলেন কিভাবে?

‘মহাজনের নাও’ আমাকে দিয়ে লিখিয়েছিল এ নাটকের পরিচালক সুদীপ চক্রবর্তী আর সুবচন-এর দলপ্রধান আহম্মেদ গিয়াস। মাত্র ৭ দিনের মাথায় এটা লিখে দিয়ে দেই। প্রথমে এত কিছু মনে হয়নি। পরে দেখি লোকজন বেশ পছন্দ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী নাটক হিসেবে চারবার এটা বিদেশ গেছে। আবার সিলেটের নৃত্যশৈলী এটাকে গীতিনৃত্যনাট্য করেছে। আমেরিকার একতারা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যতত্ত্ব বিভাগ আলাদা আলাদা মঞ্চায়ন করেছে। সুবচন এটার ৯২টি শো করেছে। এটা এত পছন্দ কেন করে আমি বুঝি না। আমার ধারণা, নাটকে আবদুল করিমের গান আছে, এজন্য এটা মানুষের এত পছন্দ। তবে এটা লিখে মজা পেয়ে গেছি। সামনে হাসন রাজাকে নিয়ে অন্যভাবে একটা লিখব। মানসিক প্রস্তুতি এবং হাসন চর্চা প্রায় শেষ। এর নাম হবে—হাসনজানের রাজা।

এছাড়া আপনি তথ্যচিত্রও বানান। এখন পর্যন্ত কী কী বিষয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছেন। বাউল আবদুল করিমকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর পেছনের গল্পটা শুনতে চাই।

আমি বরাবর স্টিল ক্যামেরা চালাতে পছন্দ করতাম। ২০০১ সালে একটা ভিডিও ক্যামেরা ভাড়া করি আমেরিকা যাবার সময়। এবং প্লেনে বসে ম্যানুয়েল পড়ে তার ব্যবহার শিখি। আমেরিকা গিয়ে বাঙালিদের সঙ্গে কথা বলি এবং ৫০ বছর আগে অভিবাসিত হওয়া এক বাঙালির ওপর ডকুমেন্টারি বানাই। সেটাই প্রথম। প্রিমিয়ার শো হয়েছিল, কিন্তু কোনো টিভিতে চলেনি।

২০০৩ সালে একটা ডিভি ক্যামেরা আমি কিনে ফেলি। দেশের বাইরে যেখানে যাই, এটা দিয়ে ছবি তুলি। ২০০৪ সালে শান্তিনিকেতন গেলাম পরিবারের সঙ্গে, এর ওপর বানালাম ‘বোলপুরে রবীন্দ্রনাথ’। এটা চলল চ্যানেল আইতে, ২০০৫-এ। সে বছরই আরটিভি এলো। সেখানে খ ম হারুন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে। তাকে আমার কিছু বিদেশে চিত্রায়িত ফুটেজ দেখালাম। তিনি পছন্দ করলেন। ‘পৃথিবীর পথে পথে’ নামে ২০ মিনিট করে ৬৪টি পর্ব প্রচার হলো। এরপর মাছরাঙ্গা, বিটিভি, বৈশাখী মিলে দেশ-বিদেশে চিত্রায়িত তথ্যচিত্রগুলোর প্রায় ৩০০টি পর্ব প্রচার হয়েছে।

শাহ আবদুল করিমকে কাছ থেকে দেখতে এবং তাঁর চিত্র ধারণ করে রাখার জন্য ২০০৩ সালে একবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এক বিকেল ও সন্ধ্যা কাটিয়ে ঢাকা ফেরত এসে ফুটেজ দেখে মনে হলো আবার যাই। পরের সপ্তাহে আবার গেলাম, তখনই মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে তাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানাব। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমি তাকে সর্বত্র অনুসরণ করি। সেটা নিয়ে বানাই ৫০ মিনিটের তথ্যচিত্র ‘ভাটির পুরুষ’।

ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কারণে আপনার সাম্প্রতিক স্মৃতিচারণামূলক লেখালেখির একটি বিষয় হুমায়ূন আহমেদ। স্বভাবতই তাঁর জন্ম বা মৃত্যুবার্ষিকীর বিশেষ আয়োজনে তাঁকে নিয়ে লেখার অনুরোধ পান আপনি। প্রশ্ন হলো, হুমায়ূনকে নিয়ে লেখার অনুরোধ পেতে কেমন লাগে?

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে দুটি বই (‘হুমায়ূন আহমেদ : যে ছিল এক মুগ্ধকর’/প্রথমা, ‘নুহাশপল্লীর এইসব দিনরাত্রি’/অন্যপ্রকাশ) বেরিয়েছে। এ দুটোতে তাকে নিয়ে আমার প্রায় ৭০ হাজার শব্দ লেখা হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ যা যা ছিল আমার ভাণ্ডারে, যেগুলো পাঠকরা জানতে পারেন, সেগুলো আমার লেখা হয়ে গেছে। এরপর আর নতুন কিছু লিখতে ইচ্ছা করে না। আমি যা যা জানি, তার অনেক কিছুই আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত, সব তো আর সবার জন্য প্রকাশ করতে পারব না। সুতরাং প্রকাশযোগ্য প্রায় সবকিছু লেখার পরও যখন কোনো সম্পাদক আমাকে বলেন—নতুন কিছু দেন, এক্সক্লুসিভ, তখন একটু বিরক্তই লাগে।

আপনাকে ধন্যবাদ শাকুর মজিদ

বাংলানিউজকেও ধন্যবাদ।



বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।