ঢাকা: বিদেশি কবিদের উপস্থিতিতে সারাদিন মুখর ছিল জাতীয় কবিতা উৎসব। উৎসবে প্রত্যেক কবি তাদের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে মৈত্রীর বন্ধনে পৃথিবীর সব মানুষকে এক হওয়ার আহ্বানও জানান কবিরা।
কবিতা উৎসবের তিন দশক উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হয়।
উৎসবে ভারত, সুইডেন, নরওয়ে, স্লোভাকিয়া, মরক্কো, তাইওয়ান ও নেপালের অতিথি কবিরা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
সুইডেনের কবি বেনত বার্গ, নরওয়ের কবি অ্যারলিং কিতেনসেন, স্লোভাকিয়ার কবি মিলান রিচার, মরক্কোর কবি বেনাইসা বোমালা, তাইওয়ানের কবি লী কুই শিন, লীন ফো অর, লী রিও ইয়াং, ড. ফাং ইয়াং চীন ও নেপালের কবি বিধান আচার্য আবৃত্তিতে অংশ নেন।
তাইওয়ানের কবি লী রিও ইয়াং আবৃত্তি করেন তার স্বরচিত কবিতা মিড নাইট। এ কবিতায় তিনি একজন নারী তার স্বামীকে নিয়ে মধ্যরাতে কী ভাবেন, সেই ভাবনাকে তুলে ধরেছেন।
‘কে কার সঙ্গে খেলছে/একজন খেলছে বল আরেকজনও খেলছে...’ এই দুটি লাইন দিয়ে কবিতা শুরু করেন মরক্কোর কবি বেনাইসা বোমালা।
তার কবিতায় তিনি দুটি শিশুর খেলার মধ্যে যে স্বাধীনতা নেই এবং প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে তারই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
তবে প্রায় সব কবি তাদের কবিতায় বিশ্বমানবতা, শান্তি, যুদ্ধ ছেড়ে মৈত্রীর বন্ধনকে দৃঢ় করার কথাই বলেছেন। কেউ তুলে এনেছেন প্রেম, ভালবাসা আবার কেউ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের মানুষের করুণ চিত্র।
হয়তো এ কারণেই তাইওয়ানের কবি বেনতা বার্গ তার কবিতায় বললেন, নতুন দিনের জন্য তৈরি হও। ভালোবাসার শেষ তো এখানেই। আশার আলো জ্বালিয়ে বললেন, ‘বৃষ্টি আবার বর্ষিত হবে উম্মুক্ত হাতে । ’
এর আগে কাব্যে অবদান রাখার জন্য কবি সাজ্জাদ কাদিরকে এ বছরের জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের তুলে ধরার জন্য কবি বেলাল চৌধুরীকে সম্মাননার জন্য নাম ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা করেন কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এমআইকে/বিএস