ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

হ্যালো নির্ঝর! | মালিহা মোস্তাক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
হ্যালো নির্ঝর! | মালিহা মোস্তাক

-    হ্যালো, নির্ঝর বলছেন?

-    জ্বী, বলছি।
-    এভাবে বুঝি ফোন নম্বর দিয়ে দিতে হয়?
-    আপনি কে বলছেন?
-     আমি? ধরুন আমি প্রকৃতি।

কখনও শান্ত কখনও ভয়ঙ্কর...।
 
শুরুটা ঠিক এভাবেই ছিলো নির্ঝর আর বিথীর। নির্ঝর একটি অনলাইন পত্রিকায় কাজ করে। সেই পত্রিকার বার্তা বিভাগের পাশাপাশি সাহিত্য বিভাগও দেখছে নির্ঝর। সেখান থেকেই মোবাইল নম্বর পেয়ে নির্ঝরকে ফোন করে বিথী। বিথী গল্প পাঠায়। নির্ঝর কিছু প্রকাশ করে, কিছু করে না। প্রতিদিন বিথীর ফোন পায় নির্ঝর। বিথীর সব গল্পের নায়ক নির্ঝর। এ নিয়ে আজকাল অফিসেও সবাই ঠাট্টা তামাশা করছে নির্ঝরের সঙ্গে। মেয়েটা কী চায়, এটা জানা দরকার। অনেকটা অনিচ্ছাতেই বিথীকে দেখা করতে বলে নির্ঝর।
 
বনানী ১১ নম্বর সড়কের একটি ক্যাফেতে বিথী আর নির্ঝর বসে। নীল রঙের জামাতে পরীর মতো লাগছে বিথীকে। এই পরীটা অনেক কথা বলছে আর শুধু হাসছে। নির্ঝরের খারাপ লাগছে না। বিথী খুব সাধারণ মেয়ে আর খুব সাধারণভাবে মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো অসাধারণ ক্ষমতা আছে তার মধ্যে। এই যান্ত্রিক শহরের কোনোকিছুই মুগ্ধ করতে পারছিলো না নির্ঝরকে। কিন্তু এই মেয়েটা ঝড়ের মতো এসে খুব সহজে মুগ্ধ করে দিচ্ছে তাকে। নির্ঝর মুগ্ধ হচ্ছে। তার মুগ্ধ হতে ভালো লাগছে।

এই পর্যন্ত এসেই থেমে যায়, গল্পটাকে আর এগিয়ে নিতে পারছে না নির্ঝর। আজকাল কোনো গল্পই বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারে না ছেলেটা। লেখাটা টেবিলে রেখে বারান্দায় গেলো। মোবাইলটা বাজছে। পকেট থেকে মোবাইল বের করলো নির্ঝর-
- হ্যালো।
- হ্যালো, নির্ঝর বলছেন?

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।