২০১৬ সালে ফিকশনপ্রেমীদের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের অবসান হলো জুলাইয়ের শেষদিনে। দীর্ঘ আটবছর পর নিম্বাস ২০০০ ব্রুমস্টিকে উড়ে এলো হ্যারি পটারের নতুন গল্প।
রোববার (৩১ জুলাই) হ্যারি পটারের জাদু এশিয়াতে বিস্তার করতেই সব বয়সী জাদুকর আর জাদুকরীরা অষ্টম গল্পের প্রথম কপি হাতে পেতে বুকস্টোরগুলোতে ভিড় জমায়। ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’ নাটকের প্রথম কপিকে বলা হচ্ছে স্পেশাল রিহার্সেল এডিশন।
তবে কার্সড চাইল্ডের গল্পটি হ্যারি পটারের শেষ বই- হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজের (২০০৭) ১৯ বছর পরের ঘটনা। এখানে পাওয়া যাবে মিনিস্ট্রি অব ম্যাজিকে কর্মরত প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবক হ্যারি পটারকে। হ্যারি পটার পড়তে পড়তে বড় হয়ে যাওয়া পাঠকদের সঙ্গে হ্যারিও এখন অনেক বেশি পরিণত। ছেলেবেলার প্রেম জিনি উইসলিকে বিয়ে করে তিন সন্তান নিয়ে সংসার করছে সে। তবে এখনও তার গোল চশমা ও কপালে কাটা দাগ রয়েছে।
কিন্তু অষ্টম গল্পে মুখ্য হয়ে এসেছে হ্যারি পটারের ছোট ছেলে অ্যালবাস। ১১ বছর বয়সী অ্যালবাস হোগওয়ার্ট স্কুলে যাওয়ার পর “গ্রেট ম্যান’স সন” সিনড্রোমে পড়ে। বাবার সুখ্যাতি তাকে অনেকটা অবহেলিত ও কিংবদন্তী হতে বাধাপ্রাপ্ত করে। বইটিতে নতুনভাবে অনেক ঘটনা তুলে এনে আরও উন্নত করা হয়েছে। আগের গল্পগুলোর মতো এখানেও অনেকগুলো স্বপ্নের সিকোয়েন্স রয়েছে। রয়েছে বিভ্রান্তি। আটধাপে পা রেখে পাঠকরা হ্যাগ্রিডকে খানিক মিস করবেন হ্যারি ভক্তরা। আনন্দিত হবেন পুরনো ম্যাজিক্যাল গ্যাংকে ফিরে পেয়ে। যেখানে হারমিওন গ্রেঞ্জারকে পাওয়া যাবে মিনিস্টার অব ম্যাজিক ও রন জোক শপের প্রোপাইটর হিসেবে।
হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ডের মুক্তিতে লন্ডনের প্যালেস থিয়েটার প্রাঙ্গণে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ৩০ জুলাই লন্ডনের প্যালেস থিয়েটারে নাটকটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হওয়ার পর মধ্যরাতে কাগজে প্রকাশ পায় স্ক্রিপ্ট। হ্যারি পটার ভক্তদের প্রতিক্রিয়ারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। স্ক্রিপ্ট প্রকাশের এক সপ্তাহ আগেই লন্ডনের ওয়েস্টারস্টোনে অর্ডার তালিকায় নাম ছিলো ৫০ হাজার পাঠকের!
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস