শনিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে দুই পর্বের এই উদযাপনের প্রথম পর্বে ছিল শুভেচ্ছা বক্তব্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আনোয়ার হোসনে মঞ্জু বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক মিল। মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য- অনেক কিছুই একরকম। আমাদের মধ্যে অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐক্য রয়েছে।
‘বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করছে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। দুই দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে আইজিসিসি,’ বলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
তিনি আরও যোগ করেন, শুধু ভারতের শিল্পী নয় বরং বাংলাদেশের শিল্পীদের অনুষ্ঠানের আয়োজন বেশি করা হয়ে থাকে এই কেন্দ্রে। সেই সুবাদে ২০১৫ সালে সারা বছরে ৯৫টি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সুরের জাদুতে শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। মঞ্চে আসেন, আইজিসিসি’র সংগীতগুরু সন্তোষ কুমার মিশ্র এবং তার ২২ শিক্ষার্থী। সংগীতের স্বরের খেলায় রাগ শুদ্ধ কল্যাণের আশ্রয়ে সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘স্বরশ্রুতি’। গান শেষে নাচ নিয়ে আসেন আইজিসিসি’র শিক্ষার্থী শিল্পীরা।
নাচ-গানের মেলবন্ধনের পর ছিলো কবিতার শিল্পিত আয়োজন। যোগেশ বশিষ্ট হিন্দি ভাষার কবিতা পাঠ করেন। পাশাপাশি এই পরিবেশনায় অংশ নেন তার শিক্ষার্থীরা।
এরপর হয় মণিপুরি আঙ্গিকের শাস্ত্রীয় নৃত্যের পরিবেশনা। ওয়ার্দা রিহাব পরিচালিত পরিবেশনাটি শ্রোতা-দর্শকের নয়নে প্রশান্তি ছড়িয়ে দেয় আইজিসিসির ছয় থেকে ১২ বছরের শিক্ষার্থীর দলটি। পরিবেশিত হয় বাল্যকৃষ্ণ নর্তন। অনূর্ধ্ব ১২ বছরের শিল্পীরা পরিবেশন করে গোপ রস শিরোনামের নাচ। নাচ-গান ও কবিতার এই পরিবেশনার মাঝে ছিল যোগ ব্যায়ামের প্রদর্শনী।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীতের সুরে শেষ হয় সাস্কৃতিক পরিবেশনা।
সব শেষে আইজিসিসি’র সংগীত ও নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ ও স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এসএনএস/আইএ