বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
এ সময় পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, শওকত মাহমুদ, কবি আব্দুল হাই শিকদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে সাযযাদ কাদিরের ছেলে সাদ্দাম কাদির বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইলের দেলদোয়ারের পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবাকে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। এর আগে তিনি জ্বরজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
সাযযাদ কাদির ১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের ষাটের দশকের অন্যতম কবি, গবেষক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত।
সাযযাদ কাদির ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে তিনি টাঙ্গাইল করোটিয়ার সা'দত কলেজ-এর বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ছেড়ে সাপ্তাহিক 'বিচিত্রা' পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি কাজ করেছেন রেডিও বেইজিং, দৈনিক সংবাদ, মানবজমিন ও দিনকালে।
সাযযাদ কাদির একাধারে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ লিখেছেন। গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সংকলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
** কবি সাযযাদ কাদিরের মৃত্যুতে সংস্কৃতিমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এমসি/টিআই