ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বেইজিংয়ের স্বর্গ-মন্দির: রাজকীয় পূজাবেদী ‍| ফজল হাসান 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
বেইজিংয়ের স্বর্গ-মন্দির: রাজকীয় পূজাবেদী ‍| ফজল হাসান  বেইজিংয়ের স্বর্গ-মন্দির

শুধু চীন ভ্রমণ নয়, বরং যেকোনো দেশে বা যেকোনো নতুন জায়গায় গেলে আমি যাওয়ার আগে সেই জায়গার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন প্রসিদ্ধ স্থাপনা সম্পর্কে কৌতূহলের প্রাথমিক ক্ষুধা নিবারণ করে যাই।

চীনে যাওয়ার আগে আমি আমার অন্যতম উৎস হিসেবে সহকর্মী ডক্টর উইলিয়াম লু-কে এন্তার প্রশ্ন করেছি। আসলে আমার প্রশ্নের কোনো নির্ধারিত সিলেবাস ছিলো না।

উল্লেখ্য, উইলিয়ামের জন্ম সাংহাইয়ে এবং তার বেড়ে ওঠা ও পড়াশুনা বেইজিংয়ে। এখনও সে প্রতি বছর আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেইজিং যায়। তাই বেইজিং সম্পর্কে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অনেক বেশি। আমার মনে হয়, বই-পুস্তক এবং মাস্টার গুগলকে জিজ্ঞেস করলে জানার পরিধি যতটুকু বিস্তৃত এবং স্বচ্ছ হবে, অভিজ্ঞ কারোর সঙ্গে সরাসরি কথা বললে জানার বিষয়গুলো আরও বেশি পরিষ্কার হবে।  

উইলিয়াম বলেছিল, বেইজিংয়ের যেখানেই যাও, কিংবা যেকোনো স্থাপনা দেখ না কেন, অবশ্যই চীনের প্রাচীন স্থাপত্য এবং প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন, স্বর্গ-মন্দির দেখতে যাবে। ভুল যেনো না হয়। আমি আশ্বস্ত করে তাকে বলেছি, কিচ্ছুটি ভেবো না। আমাদের ভ্রমণ সূচিতে ওটাও রয়েছে ।  

আমাদের চীন ভ্রমণের সফরসূচির মধ্যে অন্যতম আইটেম ছিলো বেইজিং শহরের প্রাচীন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের নীরব সাক্ষী ‘স্বর্গ-মন্দির’ বা ‘টেম্পেল অব হ্যাভেন’ দেখা। চীনা ভাষায় এই স্বর্ণ-মন্দিরকে বলা হয় ‘তিয়ান ত্যান’। এছাড়া কেকের ওপর আইসিংয়ের মতো উপরি হিসেবে ছিলো সেখানে ঢোকার আগে গাছ-গাছালি ঘেরা ছায়া সুনিবিড় বিশাল বাগানের মাঝে স্থানীয় এবং অন্যান্য নারী-পুরুষ পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গীতের তালে তালে ‘তাই চি’ অনুশীলন করা। তবে তাই চি-র অভিজ্ঞতা এখানেই চাপা থাক।  

আমাদের স্বর্গ-মন্দিরের প্রোগ্রাম ছিলো বেইজিং ভ্রমণের চতুর্থ দিনের এক ঝরঝরে রোদেলা সকালে। যথারীতি ভোরে ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে হোটেলের রেস্তোরাঁয় নাস্তা পর্ব শেষ করে আমরা ট্যুর গাইড ওশেনের নেতৃত্বে বেলা আটটার আগে বেরিয়ে পড়ি। আমরা, অর্থাৎ আমার স্ত্রী মেহেরুন এবং আমি ছাড়া আমাদের দলে আরও আঠারো জন নারী-পুরুষ ছিলো। সবাই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর এবং এলাকা থেকে একই ট্যুর প্যাকেজে গিয়েছিলাম। উল্লেখ্য, একজন দক্ষ এবং বিচক্ষণ ভ্রমণ গাইড হিসেবে ওশেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও কর্তব্য সচেতন। নিজের কাজ এবং কর্তব্য সম্পর্কে সে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তাই বাসে ওঠার পরে সে সারাদিনের ভ্রমণসূচি এবং গন্তব্যের স্থাপনা সম্পর্কে যথারীতি বয়ান দিয়েছে। সে বলেছে, আমরা স্বর্গ-মন্দির চত্বরের ভেতর শুধু ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ দেখতে যাবো। কেননা এই ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ হলো স্বর্গ-মন্দির চত্বরের মূল আকর্ষণ, সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক স্থাপনা। এছাড়া অন্যান্য স্থাপনাগুলো বিশাল চত্বরের উল্টো দিকে। তাই সবগুলো দেখার সুযোগ এবং সময় হবে না ভেবে ভ্রমণসূচিতে নেই। তবে একসময় সে দূর থেকে আমাদের দেখাবে। ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা’ও ভালো – এই আপ্তবাক্য মনে করে সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছি।  

প্রাচীন চীনা স্থাপত্যশৈলী এবং রঙবাহারি কারুকাজ করা স্বর্গ-মন্দিরের বিশাল চত্বরে অসংখ্য সুন্দর স্থাপনা রয়েছে, যা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এসব স্থাপনার মধ্যে ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’, ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অব হেভেন’ এবং ‘সার্কুলার মাউনড্ অ্যাল্টার’ অন্যতম। স্বর্গ-মন্দির চত্বরে ঢোকার জন্য চারপাশে চারটি মূল গেট রয়েছে। ভেতর প্রবেশের জন্য টিকেট নিতে হয়। পূর্ব দিকের প্রবেশ পথের বাইরে এক পাশে আমাদের দাঁড়িয়ে রেখে ওশেন তড়িৎগতিতে গিয়ে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনে আনে। ভেতরে প্রবেশ করে আমি তো রীতিমতো থ বনে গিয়েছি। সে কী এলাহী কাণ্ড! আমাদের সামনে খোলা চত্বর এবং তার মাঝখানে বিশাল এলাকা জুড়ে তিনতলা ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ বৃত্তাকার ভবন। বিভিন্ন বয়সের অগণিত চীনা এবং অ-চীনা, অর্থাৎ বিদেশি নারী-পুরুষ পর্যটকদের কলকাকলীতে মুখরিত চারদিক। সকালের সোনালি নরম রোদ এসে তির্যকভাবে ঠিকরে পড়েছে সেই ভবনের পূর্ব পার্শ্বে। ভবনের নীল, হলুদ এবং সবুজ রঙের টাইলস্ দিয়ে তৈরি, যা সত্যি অপূর্ব, লা-জবাব।  

মিথ রয়েছে, এই রঙগুলো যথাক্রমে স্বর্গ, সম্রাট এবং মর্ত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সময়টাকে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পান করেছি সৌন্দর্যের সবটুকু অমৃত। একসময় মেহেরুনের হালকা ডাকে সম্বিত ফিরে আসে। আমি চারপাশে ইতিউতি তাকাই। আমার চাহনি দেখে মেহেরুনের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, আমি আমাদের দলের লোকজনদের খুঁজছি। মেহেরুন আঙুল উঁচিয়ে দেখালো সবাই ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে।  

উপর থেকে দেখা ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ 

স্বর্গ-মন্দিরের চত্বরে দাঁড়িয়ে চকিতে আমার মনে হয়েছে, আমি যেনো টাইম মেশিনে চড়ে এক ফুৎকারে ফিরে গিয়েছি সাতশো বছর আগে, যখন এই স্বর্গ-মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল। মিং রাজবংশের সময় (১৩৬৮-১৬৪৪) সম্রাট ইয়ংলের আমলে দুইশো পঁচাত্তর হেক্টর জমির ওপর ১৪০৬ সালে স্বর্গ-মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং সমাপ্ত হয় ১৪২০ সালে। উল্লেখ্য, এই ইয়ংলে সম্রাটের আমলেই বেইজিংয়ের বিখ্যাত ‘নিষিদ্ধ নগরী’ বা ‘ফরবিডেন সিটি’ নির্মাণ করা হয়। তবে ষোড়শ শতাব্দীতে জিয়াজিং সম্রাটের শাসনামলে স্বর্গ-মন্দিরের পরিধি বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে আঠারো শতাব্দীতে চিয়ালং সম্রাটের রাজত্ব্যের সময় ব্যাপকভাবে পুনঃসংস্কার করা হয়। চত্বরের ভেতরে প্রতিটি স্থাপনা প্রাচীন চীনা স্থপতি এবং জ্যামিতিক নিয়ম অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্বর্গ-মন্দিরের ওপর দিয়ে ঝড়-ঝাপটা বয়ে গেছে, বিশেষ করে দ্বিতীয় ওপিয়াম যুদ্ধের সময় (১৮৫৬-১৮৬০)। তখন অ্যাংলো-ফরাসি বাহিনীর সৈনিকেরা দখল করে। পরবর্তীতে বক্সার বিদ্রোহের সময় ১৯০০ সালে সম্মিলিত আট-জাতি স্বর্গ-মন্দিরের পুরো এলাকা দখল করে নেয় এবং সেখানে তারা এক বছরের জন্য সামরিক বাহিনীর অস্থায়ী কমান্ড অফিস গড়ে তোলে। সেই এক বছরে তারা মন্দির এবং আশেপাশের বাগানে অনেক ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া মন্দিরের ভেতর থেকে মূল্যবান এবং দুষ্প্রাপ্য অনেক শিল্পকর্ম ও মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিং রাজবংশের সময় স্বর্গ-মন্দিরের চত্বর অবহেলায় ছিলো। তবে ১৯১৪ সালে তৎকালীন চীনের প্রেসিডেন্ট ইউয়ান শিকাই নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করার পূর্বে মিং রাজবংশের প্রথা অনুযায়ী বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেন। স্বর্গ-মন্দিরে সেই ছিলো শেষ প্রার্থনা। তারপর আর কোনো প্রার্থনার আয়োজন করা হয়নি। স্বর্গ-মন্দির চত্বরের চারপাশে চোখ জুড়ানো বাগান তৈরি করে ১৯১৮ সালে পুরো এলাকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় । ইউনেস্কো ১৯৬৮ সালে স্বর্গ-মন্দিরকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে ঘোষণঅ করে।

‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’-এর সামনে লেখক এবং মেহেরুন 

স্বর্গ-মন্দিরে প্রবেশের পর ওশেন সরাসরি আমাদের নিয়ে যায় মাঝখানে অবস্থিত কারুকাজ করা গোলাকার ভবন ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’র কাছে। ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবনের ব্যাস ৩৬ মিটার এবং উচ্চতায় ৩৮ মিটার। ভূমি থেকে ভবনের মেঝেতে ওঠার সিঁড়ি এবং বাইরের জায়গা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভবনের সবচেয়ে ভেতরে চারটি থাম (পিলার), মাঝে বারোটি থাম এবং বাইরে আরও বারোটি থাম রয়েছে। এই থামগুলোর সংখ্যার পেছনে পুরাণ রয়েছে।  

থামগুলোর সংখ্যা যথাক্রমে চার ঋতু, বারো মাস এবং চীনাদের চিরায়ত বারো ঘণ্টার প্রতীক হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। ধারা বর্ণনার এক ফাঁকে ওশেন বলেছে, বর্তমানের ভবনটি কিন্তু আসল ভবন নয়। আসল ভবন ১৮৮৯ সালে আগুনে পুড়ে যায়। কয়েক বছর পরে বর্তমান ভবনটি নির্মিত হয়। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, স্বর্গ-মন্দিরের ভবন কিন্তু সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এবং কোথাও কোনো পেরেক নেই।  

মিং এবং চিং (১৬৪৪-১৯১১) রাজবংশের আমলে সম্রাটেরা বাম্পার ফসল এবং প্রচুর বৃষ্টির আশায় প্রতি বছর মকরকান্তিতে ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’-এ এসে স্বর্গ-দেবতার কাছে প্রার্থনা করতেন। ভবনের মেঝেতে মার্বেল পাথর বিছানো এবং সেখানে বসে সম্রাটেরা দেবতার কাছে আরাধনা করতেন। এই ভবনের ভেতর চতুর্দিকের দেয়াল এবং সিলিং কারুকাজ করা রঙবাহারি, চোখ ধাঁধানো এবং দেখতে রীতিমতো জম্পেশ। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। বলা হয়, চীনের প্রাচীন স্থাপত্য এবং শিল্পকলার অন্যতম উজ্জ্বল উদাহরণ এই ভবন। এখনও এই ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবন বেইজিংয়ের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে বিশ্বের কাছে সুপরিচিত ।  

‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’র ভেতরে রঙবাহারি কারুকাজ 

‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবন দেখা হয়ে গেলে ওশেন আমাদের প্যাভিলিয়নে জড়ো করে। তারপর সে দক্ষিণমুখী হয়ে দূরের ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অব হেভেন’ এবং ‘সার্কুলার মাউনড্ অ্যল্টার’ ভবনগুলো দেখিয়ে কয়েক মিনিট নন-স্টপ বর্ণনা করে।  

মার্বেল পাথরের মেঝের ওপর ইট এবং কাঠের তৈরি ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অফ হেভেন’ ১৫৩০ সালে নির্মিত হয়। এই ভবনের উচ্চতা উনিশ মিটার এবং ব্যস ষোল মিটার। ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবন থেকে সেখানে যেতে হলে ‘ভার্মিলন স্টপস্ ব্রিজ’ পেরোতে হয়। ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অব হেভেন’ ভবনের চারপাশে প্রতিধ্বনি দেয়াল রয়েছে। সেখানে কেউ কথা বললে আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হয়ে বহুদূর পর্য্যন্ত অনুরণিত হয়। দূর থেকে দেখে মনে হয়, সোনালি রঙের বিশাল মাথার ওপর কেউ যেনো নীল ছাতা মেলে ধরে আছে।  

উপর থেকে দেখা ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অফ হেভেন’

‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অফ হেভেন’ ভবনের দক্ষিণ পাশেই অবস্থিত ‘সার্কুলার মাউনড্ অ্যাল্টার’, যা তিন স্তর মার্বেল পাথরের তৈরি বৃত্তাকার খোলা প্ল্যাটফর্ম। যদিও ১৫৩০ সালে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ১৭৪০ সালে পুনঃনির্মাণ করা হয়। এই ‘সার্কুলার মাউনড্ অ্যাল্টার’-কে বলা হয় স্বর্গ-মন্দিরের ‘হৃদপিণ্ড’। কেননা প্রতিবছর এখানে এসে সম্রাটেরা স্বর্গ দেবতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানাতেন। এছাড়া তারা আশা করতেন, পরের বছর স্বর্গ দেবতা যেনো তাদেরকে সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি দেন। উপর থেকে দেখলে দেখা যায়, চতুষ্কোণ জায়গার মধ্যে ‘হল অব প্রেয়ার ফর গুড হার্ভেস্ট’ ভবন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, ‘ইম্পেরিয়্যাল ভ্যল্ট অব হেভেন’ এলাকা বৃত্তাকার। প্রাচীন যুগ থেকে চীনারা বিশ্বাস করে, স্বর্গের আকৃতি গোল এবং মর্ত্যের আকৃতি চতুষ্কোণ।  

উপর থেকে দেখা ‘সার্কুলার মাউনড্ অ্যাল্টার’

অবশেষে এক পর্যায়ে আমাদের নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে আসে। ফিরতে মন সায় দিচ্ছিল না। ইচ্ছে হচ্ছিল আরেকটু সময় থাকি। কিন্তু বিধিবাম, উপায় নেই। অগত্যা মনের ভেতর একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাসের ধরতে স্বর্গ-মন্দির চত্বর থেকে বেরিয়ে আসি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।