তার আত্মজীবনীর নতুন পর্ব ‘বিপুলা পৃথিবী’র জন্য তাকে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে আনিসুজ্জামান বলেন, বিশ্বের যেখানে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা আছে তাদের জন্য এই পুরস্কার অত্যন্ত গৌরবের।
এর আগেও তিনি আনন্দ সম্মান পেয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে তাকে উপদেষ্টা করে বাংলাদেশ থেকে বেরুনো হাজার বছরের বাংলা কবিতা, গান ও নাটক নিয়ে ১৪টি ক্যাসেটের সঙ্কলন ‘ঐতিহ্যের অঙ্গীকার’র জন্য ১৯৯৪ সালে আনন্দ-সম্মান দেওয়া হয় তাকে।
তার আত্মজীবনীর নতুন খণ্ড ‘বিপুলা পৃথিবী’ গত বছরেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই বই ব্যক্তির জীবন ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে উপমহাদেশের সার্বিক ট্রাজেডির প্রতিচ্ছবি।
এবারের আনন্দ পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলির সদস্য ছিলেন- কৃষ্ণা বসু, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সেলিনা হোসেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
মনোনীত করা হয়েছিল তিনটি বইকে। সেই তালিকায় আনিসুজ্জামানের বই ছাড়াও ছিলো অনিতা অগ্নিহোত্রীর ‘মহানদী’ এবং পথিক গুহের ‘ঈশ্বরকণা, মানুষ ইত্যাদি’।
আনিসুজ্জামানের আত্মজীবনীর প্রথম দুই খণ্ড ‘কাল নিরবধি’ ও ‘আমার একাত্তর’ সাহিত্যরসিকের কাছে পরিচিত। তৃতীয় খণ্ড ‘বিপুলা পৃথিবী’-র বৃত্তান্ত শুরু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএনএস