সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে মনোমুগ্ধকর সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আইজিসিসি’র পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট শ্রী মথুরানাথ কুণ্ডু। স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস। এছাড়া বিশেষ বক্তব্য রাখেন হল প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধেও তাদের অবদান অনেক। মুক্তিযোদ্ধারা যখন হতাশ হয়ে যেতেন তখন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের অনুপ্রেরণামূলক গান শুনে তারা উৎসাহ পেতেন। এ দুইজন বাংলা সাহিত্যের পুরধা ব্যক্তিত্ব।
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার বাংলাদেশে সংস্কৃতি বিকাশে যে অবদান রেখে চলেছে এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শ্রী মথুরানাথ কুন্ডু বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির দুই স্তম্ভ। বাংলাকে ব্রিটিশরা ভাগ করে দিলেও এ দু’জনের সম্পর্ক ভাগ হয়নি। তারা আমাদের জন্য সংস্কৃতির অশেষ ধন-সম্পদ রেখে গেছেন। দুজনের গান আমাদের উজ্জীবিত করে। এ দুই কবির আদর্শ আমাদের আজীবন অনুপ্রাণিত করবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র ও নজরুল স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রথমেই ‘কে সে সুন্দর’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন তুরঙ্গমী রেপার্টরি ডান্স থিয়েটারের পূজা সেনগুপ্ত ও তার দল। অদিতি মহসিন রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং করেন নাশিদা কামাল নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
এসকেবি/এসএনএস