ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ইমরান মাহফুজের লালব্রিজ গণহত্যা প্রকাশিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
ইমরান মাহফুজের লালব্রিজ গণহত্যা প্রকাশিত ইমরান মাহফুজের লালব্রিজ গণহত্যা প্রকাশিত

কবি ও কালের ধ্বনি’র সম্পাদক ইমরান মাহফুজের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা গ্রন্থ ‘লালব্রিজ গণহত্যা’ সোমবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত হয়েছে। 

বইটিতে রয়েছে একাত্তরের ঘাতকদের এক জল্লাদখানা ও বধ্যভূমি আবিষ্কারের চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা গত ৪৫ বছরে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই হয়নি।

বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা অধ্যায়। লালব্রিজ চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা থানার রেলব্রিজের সংলগ্ন একটি জায়গা।

যুদ্ধকালীন পাক ঘাতকরা ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতাকামী প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করে রেলব্রিজের পাশে ওয়াপদা ভবনের বাউন্ডারির মধ্যে ও পার্শ্ববর্তী দু’টি বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখে। গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী  আবুল হোসেনের ভাষ্যমতে, তার জমিতেই প্রায় একহাজার নারী-পুরুষকে পাক সেনারা হত্যা করে পুঁতে রেখেছে।  

১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলব্রিজের কাছের ওই বধ্যভূমি খনন করে ৪শ মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের ছবি তুলে রাখা হয়েছিল। তবে ওখানে আরও প্রায় এক থেকে দেড় হাজার দেহাবশেষ রয়েছে।  

গ্রন্থটিতে নিমর্ম হত্যাকাণ্ডের সব বিষয় উঠে এসেছে। এটি প্রকাশ করছে ১৯৭১: গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট। প্রচ্ছদ করেছেন তারিক সুজাত। সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হিসেবে আর্কাইভ ও জাদুঘরের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থমালা সম্পাদক মুনতাসির মামুন ও সহযোগী মামুন সিদ্দিকী।

ইমরান মাহফুজ সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং কবি ও গবেষক আবদুল কাদিরকে নিয়ে কাজ করেছেন। এখন করছেন কবি জসীম উদ্‌দীনকে নিয়ে।  

তার প্রথম কবিতার বই দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা (ঐতিহ্য), আবুল মনসুর আহমদ স্মারকগ্রন্থ (প্রথমা), জীবনশিল্পী আবুল মনসুর আহমদ (স্টার বুকস), মুক্তিযুদ্ধ: অজানা অধ্যায় ( জাগৃতি), কষ্টের ফেরিওয়ালা: হেলাল হাফিজ (বিভাস), Equation of life-সহ (Kaler Dhoni) মোট ৭টি বই প্রকশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।