কী
ঠিক এই সন্ধেবেলা
আমার চতুর্দিকে জঙ্গল নামে
যেন সে স্মারকগ্রন্থ
একদিন ছিল বলে হাল্কা দাগ এখনো রয়েছে
কিন্তু কী যে ছিল – অস্থির কল্পনাকূপে বারবার বালতি নামাই
আর ঝুপ করে সূর্য ডুবে যায়
দেখি সে বনের মধ্যে হারিয়েই গেছে
এই প্রশ্নটির গাঢ় লাল পাখি
বোতামের মতো
বোতামের মতো সব বসিয়েছো আলোর স্টেশন। হাতছানি খুলে রেখে উধাও হয়েছো।
হৃদয়ের প্রস্তাবনা তুমি বর্ষাকাল দিয়ে ঘেঁটে দাও। স্থানাঙ্ক নড়ে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে ঋতুরঙ্গ করো। তোমার রুমালফুলে আমাদের শ্বাসবায়ু ঘন হয়ে ওঠে।
যেভাবে নাচাও তুমি, কীভাবে না চাও আমি খরা সামলে উঠি!
আমাদের যাতায়াতে ধ্রুবক বসিয়ে তুমি এভাবে হারিয়ে যেতে পারো?
গলায় খুন চাপলেও ঠুংরি বয়, রক্তে কাশ দুলে ওঠে, বিশেষত এমন সময়?
সন্দেহ
সন্দেহ সাজিয়েছি তোমাকে মুহুর্মুহু করে। বিপ্রতীপ জ্বলে ওঠে যখন তখন।
আমার যা কিছু ধর্ম সন্দেহখেলনায় ভাঙে। তুমিও প্রসঙ্গ বুঝে রুগ্নতা লেলিয়ে দিয়েছো।
তাই জলে স্থলে চারাপোনা কিলবিল করে। ঘুমের কোকুনগুলি ফাটে।
তবে কার কবে কার ফেলে দেওয়া কথার বীজাণু –
তুমি তাকে যথাসাধ্য চিকিৎসা করেছো। অথচ তুমি তো জানো,
জীবনেও পা পড়ে না এমন স্টেশন দিয়ে সাজানো না হলে, তাকে
কখনোই জার্নি বলে না
গানের ভেতর দিয়ে
গানের ভেতর দিয়ে বহু দূরে যাবার সময়
ঘরবাড়ি চোখেই পড়ে না
যেন এই বাতাসপথে মুগ্ধতাই একমাত্র শিক্ষক
যার পথে পথে হৃদয় ছড়ানো
যেন যানবাহন নামের চলচ্চিত্র আচমকা মিউট হয়েছে
চরাচর ঢেকে ফেলছে নীরবতার তাস
গানের ভেতর এইভাবে ক্রমে ডুবে মরার সময়
পূর্বাপর জীবনের কথা কিছু খেয়াল থাকে না
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এসএনএস