ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

এই সময়ের গল্প-১৪

ঘৃণার গল্প | মুহাম্মদ ফরিদ হাসান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
ঘৃণার গল্প | মুহাম্মদ ফরিদ হাসান ঘৃণার গল্প | মুহাম্মদ ফরিদ হাসান

কথাটা যেনো কানেই যায়নি, এমন একটা বিমূঢ় ভাব রতনুকে পেয়ে বসে। খানিক আগে রুমে বসে সে গান শুনছিলো। বিকেলে গান শুনতে অন্য রকম লাগে।

সুর ও তালের প্রবাহকে যেনো বৈরাগ্য পেয়ে বসে। বিছানায় শুয়ে থাকা চাচা উঠে বসতে বসতে বলেন, জীবনের নাও এভাবে বেয়ে চলে কেউ? বৈঠাহীন নৌকার নিরুদ্দেশ যাত্রায় কোনো আনন্দ নেই।

গান সুন্দর। সুন্দর গানের মতো জীবনও সুন্দর হওয়া চাই। এমন দার্শনিকসুলভ কথাগুলো বলে চাচা হাসেন। চোখে গাঢ় কাঁচের চশমা। কাঁচের ভেতর দিয়ে চোখ দুটোর হাসি যেনো ঈষৎভাবে চোখে পড়ে। চাচার সামনে সে এমনিতেই জড়সড়। তাকে ভয় পায়। বাবার মৃত্যু পর তিনি যে হাত তার বালক মাথায় রেখেছিলেন যৌবনে এসেও সে হাত তাকে বিপদে-আপদে আগলে রেখেছে। মা মাঝে মধ্যে দু’কথা বললে চাচা বলতেন, আহা! কর কী, ছোট ছেলে, ওর কী অতো বুঝ হয়েছে। ভুল করে না হয় একটা বই হারিয়ে ফেলেছে। চাচার কথায় মা আরও তেতো গলায় বলতেন, ছেলের বয়স উনিশে গিয়ে পড়লো সেই খেয়াল আছে। এই বয়সে কেউ বই-খাতা হারায়? যত আল্লাদী! চাচা যেনো আকাশ থেকে পড়েন। রানু, বলো কী! ওর বয়স উনিশ নাকি? কবে কবে এতো বড় হলো টেরই পাইনি। ছেলেকে বিয়ে করিয়ে দিতে হবে দেখছি! চাচার কথায় মা গম্ভীর হওয়ার ভান করেন, যদিও গম্ভীর ভাবটা ঠিকমতো ধরে রাখতে পারেন না। একটা তীব্র হাসি গোপন করে বলেন, তোমার ছেলে দাও তুমি বিয়ে!
 
দুই.
-আমার উপর এতো অভিমান কেন তোর?
-কি বলো চাচা। কোনো অভিমান নাই তো!!
-আমি জানি, তুই আমাকে অপছন্দ করিস। ভাইয়ের মৃত্যুর পর মা যেভাবে ধরলেন, তোর মাকে বিয়ে না করে উপায় ছিলো না।
রতনু কী বলবে কিছু ভেবে পায় না। চুপ করে কেবল বসে থাকে। তার চোখমুখ ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়।
 
তিন.
চাচার একটা পা ছিলো না। বাঁ পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বড় রাস্তায় যেদিন তিনি গাড়ি চাপা পড়লেন রতনুর সেদিন খারাপ লাগেনি। মুখে বললেও চাচাকে কখনও আপন ভাবতে পারেনি সে। চাচা কেনই বাবার মৃত্যুর পর মাকে বিয়ে করলো! কেনই তাকে সৎ বাবা হতে হলো? পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা বললো, চাচার পায়ের হাড় ভেঙে গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে গেছে। পা কাটা লাগবে। চাচার টাকা পয়সার অভাব নেই। কিন্তু টাকা পয়সা তার কোনো কাজে এলো না। দুই হাতে টাকা উড়িয়েও একূল-ওকূলে ঠাঁই মেলেনি তার। সিঙ্গাপুর-মাদ্রাজ সব জায়গায়ই বলছে পা কেটে বাদ দিতে হবে। তিন মাস পর চাচা বাসায় ফিরলেন। তার একটা পা নেই। তিনি হুইল চেয়ারে বসা। চাচা বাসায় আসতেই মা কান্না জুড়ে দিলেন। এমন ঘটনায় রতনুরও কাঁদার কথা। কিন্তু সে কাঁদছে না। একটুও না। দাঁড়িয়ে সে চাচা আর মায়ের কান্না দেখছে। চাচার প্রতি এখনও তার ঘৃণা হচ্ছে। অদ্ভুত গন্ধ যেনো চাচার পায়ে। এ গন্ধে বমি আসে। সংসারে কথা বলার প্রাণী বলতে মা, সে আর পা-হীন চাচা। বাসায় থাকলে চাচা তার সঙ্গে কথা জুড়ে দেন। বেশির ভাগ কথাই পা-বিষয়ক। একদিন বললেন, জানিস্ ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিলাম আমি। স্যাররা আমাকে চিনতেন, প্রধান শিক্ষকও নাম জানতেন। কখনও স্কুল ফাঁকি দেওয়া আমার ধাতে ছিলো না। তখন গ্রীষ্মকাল। গাছে গাছে পাকা আম  ঝুলছে। স্কুল যাচ্ছি। হঠাৎই শুরু হলো বৈশাখী ঝড়। সে কী বাতাস! এই বাতাসে ঘরের চালা উড়ে যায়। ঝড়ে আম পড়ছে টপাটপ। স্কুল যাওয়া রেখে আম কুড়াতে ছুটলাম। অনেকগুলো আম পেয়েছিলাম কিন্তু স্কুল আর যাওয়া হয়নি। পরদিন স্যার স্কুলে না আসার জন্য কানে ধরে দাঁড় করালেন। শুধু কি কানে ধরা? হাই বেঞ্চের উপরে দাঁড়িয়ে দু’কান শক্ত করে ধরে রাখা। সারা ক্লাস দাঁড়িয়ে ছিলাম। চাচা স্কুল জীবনের কথায় সে মনে মনে হাসে। বলে, এসব কথা হঠাৎ? চাচার ম্লান হাসেন। আরে ব্যাটা, তখন পা ছিলো, বেঞ্চের উপর কানে ধরে দাঁড়িয়েছিলাম চল্লিশ মিনিট। এখন তো পা-ই নেই! কানে ধরে দাঁড়াবো কী! এই পা দিয়ে গ্রামে কতো কাবাডি খেলেছি। দৌড়েছি মাইলের পর মাইল। পায়ের উপর ভর করে কতো স্মৃতি। চাচা নিঃশ্বাস ছাড়েন। দীর্ঘশ্বাস। চাচার মুখ থমথমে। বৈশাখের মেঘময় আকাশ যেনো। চাচা চোখ বোজেন। আবার খোলেন। এমন প্রক্রিয়া চলে তিন চার মিনিট। তার চোখ খুলে আচমকাই বলেন, খুব খারাপ লাগছে। একবার বাবা ডাকবি? কথাটা শোনামাত্রই দেহের রক্ত জমে যায় যেনো। স্তব্ধ হয়ে রতনু চাচার পাশে বসে থাকে কিছুক্ষণ। চাচা মাথা নিচু করে আছেন। রতনু এক পলক চাচাকে দেখে। তারপর আশ্বিনী ঝড়ের মতো সে হঠাৎই বের হয়ে যায় রুম থেকে।
 
চার.
মা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। নিশ্চুপ। কাছে থেকে দেখলেই বোঝা যাবে চিন্তার ঝড় বইছে মনে। চিন্তুা ছেলেকে নিয়ে। স্বামীকে নিয়ে। কী দোষ তার? স্বামীর মৃত্যুর পর দেবরকে বিয়ে করা? নাকি বিধাতাই তার কপালে আজীবন অন্ধকার দিয়ে রেখেছেন। বছর দশেক হবে লোকমান মারা গেছে। হঠাৎ-ই। আচমকা। হাসপাতাল নেওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া গেলো না। মারা গেলো। ন’বছরের সংসারে তাদের সন্তান সবে একটি মাত্র ছেলে। রতনুর শৈশবী দুরন্তপনা তখন তার চোখে। তাকে পিতৃহারা হতে হলো। মাথার উপর তখন কারও ছায়া নেই। রানুর তখন চিন্তাই ছিলো ছেলে মানুষ করবেন কীভাবে? কীভাবে কাটবে বাকি জীবন? শাশুড়ির জোরাজুরিতে শেষে মোজাম্মেলের সঙ্গে তার বিয়ে হলো। লোকমানের ছোট ভাই সে। তার দেবর। সেই হলো তার স্বামী। কিন্তু ছোট্ট ছেলে রতনু, কে জেনেছিলো তার ভেতর এমন অভিমান লুকিয়ে থাকবে। মোজাম্মেলকে রতনু বাবা বলেনি কখনও। রতনু কতো বছর ধরে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রেখেছে তাকে। অথচ সৎ বাবা হলেও মোজাম্মেল সব সময় ভিন্ন ধাঁচের ছিলেন। সন্তান পর্যন্ত নিলেন না। বলতো, কী যে বলো রানু, রতনুই তো আমার সব। আর কী চাই! ওকে মানুষ করতে পারলেই জীবনকে সার্থক ভাববো। অথচ রতনু এখনও মোজাম্মেলকে ঘৃণাই করে। তাকেও হয়তো করে। তার মাথা ঝিম ধরে বসে। কান্নাও আসে। রতনুর বেখাপ্পা ব্যবহারে কী-না কষ্ট পাচ্ছে তার স্বামী!
    সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। মা’র ভাবনা তবু শেষ হয় না। বিচিত্র সব চিন্তা-ভাবনারা মাকে কষ্ট দিতে জেঁকে ধরে ভিমরুলের মতো। অথচ মা’র সেই ভিমরুল তাড়ানোর কোনো শক্তি অবশিষ্ট নেই।
 
পাঁচ.
বর্ষার দিনগুলো ফোটায় ফোটায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে শরতের মুহূর্তগুলো অপেক্ষায় কাতর হয়তো। রতনু কলেজে এসেছে। কলেজে ক্লাস নেই। তবুও সে এসেছে। ইদানীং বাসায় থাকতে বিরক্ত লাগছে। সারাক্ষণ চাচাকে চোখের সামনে ঘুরতে ফিরতে দেখছে। চাচা কথা বলছে, সে কথা বলছে। চাচার গল্প করা মাসেও ফুরায় না। যাকে জীবনের চাইতে ঘৃণা করে সে, তাকে দেখতে না ভালো লাগারই কথা। তার চেয়ে কলেজই ভালো। বন্ধুরা আছে। বান্ধবীরা আছে। আজকাল অবশ্য জুঁইয়ের নেশাটাও পেয়ে বসেছে। সবাই বলে, রতনু তুই বড় লাকি! জুঁইয়ের মতো মেয়েকে পেয়েছিস। জুই যে সুন্দর জানে রতনু। আজ  ক্লাসহীন থেকেও যে কলেজে আসা তা জুঁইয়ের টানেই। জুঁই দশটায় আসার কথা। এখন সাড়ে দশটা বাজে। জুঁই এখনও এসে পৌঁছায়নি। আজ  প্রোগ্রাম ভিন্ন। বন্ধুরা মিলে দূরে কোথায় বেড়াতে যাবে। জুঁই আসলেই রওনা হবে তারা। রতনু মগ্ন হয়ে জুঁইয়ের কথা ভাবে। জীবনের ভালো লাগাটা জুঁই যেনো তার ভেতরে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। ততোক্ষণে তমালও এসে পড়ে। তার সঙ্গে জুঁইও। হই-হুল্লোড় করে বাসে ওঠে সবাই। বাস চলতে থাকে ঢাকা ছেড়ে বহু দূরে। কুমিল্লা যাবে তারা। রতনু মাকে বলেও এসেছে। যদিও মা তাকে যেতে আপত্তি করেছিল। আজ  খুব ভালো লাগছে রতনুর। তাদের বাস কাঁচপুর ব্রিজের কাছে আসতেই রতনুর সেলফোন বেজে ওঠে। বড় মামার ফোন। চারদিকে গাড়ির কোলাহল। হর্নের চিৎকার। তারপর কল রিসিভ করে রতনু স্পষ্ট বড় মামার কথা শুনতে পায়। তুই কই রতনু? তোর বাবা... বেঁচে নেই। বাসায় আর তাড়াতাড়ি...
 
ছয়.
পরদিন সন্ধ্যায় কুমিল্লা থেকে ফিরছে রতনুর বন্ধুরা। বাসের ভেতর গান গাইছে কেউ কেউ। রতনুও গাইছে মাঝে মধ্যে। সুন্দর, অল্প মানুষের শহর কুমিল্লা। ইচ্ছে করেই রতনুরা কুমিল্লায় এক রাত কাটিয়ে আজ  ফিরে যাচ্ছে ঢাকায়। সবার বাসায়ই বলা ছিলো তারা পিকনিকে যাচ্ছে। তাই থাকতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তারা ক্যান্টনম্যান্ট দেখেছে, বসেছে ধর্মসাগর পাড়ে। বিখ্যাত রসমালাইও চেখে দেখা হয়েছে বেশ ক’বার। রতনু জানতো তার বাসায় হয়তো ততোক্ষণে চাচাকে দাফন করানো হয়ে গেছে। অনেকেই হয়তো তাকে ফোনে পেতে চাচ্ছে। সবাই জানতে চাইছে সে আসছে না কেন? সে কি তার বাবার লাশ দেখতে চায় না? ইচ্ছে করেই তাই ফোন বন্ধ রেখেছে রতনু। বন্ধুদের কোনো কিছুই জানতে দেয়নি।
রাত দশটায় বাসায় পৌঁছল সে। থমথমে নীরব যেনো দোতলা বাড়িটা। দেখেই বোঝা যায় একদিন হয়নি এ বাড়িতে মানুষ মরেছে। দরজা খোলাই ছিলো। রুমে ঢুকে রতনু মাকে দেখে। তার পাশে বড় মামা বসে। মায়ের চোখ ফোলা। লাল। গাল এখনও ভেজা। রতনুকে দেখে এক পলক তাকালেন। কিছু বললেন না। কিন্তু মায়ের চোখ তার এড়ায় না। মায়ের চোখে অনেক অভিযোগ ভেসে উঠেছে যেনো। মামাও কিছু বললেন না। রতনু নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো। চাচার জন্য তার কষ্ট লাগছে না। মাঝ রাতে মা একবার দরজা ধাক্কা দিলেন। মামা কী যেনো বললেন। রতনু দরজা খুললো না। সকালে ঘুম থেকে উঠে রতনুর আবারও ঘুম পায়। বেলা হয়েছে। উঠে ব্রাশ নেয়। তাতে টুথপেস্ট লাগায়। দাঁত মেজে বের হয়ে আসে বারান্দায়। মা বসে আছেন। বড় মামা বোধহয় বাইরে গেছেন। রতনু খানিক ভয়ও পেলো। এই না ক্ষেপে ওঠেন। তেমন কিছুই হলো না। মা কিছুই বললেন না। রতনু কিছুক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচতলায় নেমে আসে। চাচার হুইল চেয়ারটা পড়ে আছে। জুতা জোড়াও আছে। এসব দেখে অস্থির লাগছে রতনুর। মন আনচান করছে। এ ঘর, ও ঘর হাঁটে সে। কেমন যেনো শূন্য শূন্য বাড়িটা! আশ্চর্য তো! চাচার জন্য রতনুর খাতায় ঘৃণাই জমা ছিলো। শুধু ভালোবাসা ছিলো না। কিন্তু তিনি নেই বলে এতো কষ্ট লাগছে কেনো তার? কোনোমতে সেদিন পার হয়। পরদিন যেনো কষ্টটা আরও দীর্ঘায়িত হয়। চাচাকে দেখতে ইচ্ছে করে। তার কবর কোথায় জানে না রতনু। মার কাছে জানতে চাইলেই হয়তো বলে দেবে। মায়ের কাছে জানতে হলো না। বড় মামা কাকে যেনো বলছিলেন চাচার কবরের কথা। বাসা থেকে দূরে না। কাছেই। বাইতুল আমিন মসজিদের পাশের কবরস্থানে। মামার কথা শুনে রতনু দেরি করে না। বাইরে ছোটে। টেকের হাট থেকে কয়েকটা গোলাপ কেনে। তারপর ধীরে ধীরে এসে দাঁড়ায় কবরস্থানের সামনে। চাচার কবর কোনটা চিনতে দেরি হয় না। নতুন কবর। দেখলেই চেনা যায়। নেমপ্লেট লাগানো আছে। রতনুর বুক মোচড় দিয়ে ওঠে। হাতের গোলাপগুলো কবরের উপর রাখে সে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে কবরের মাটির দিকে। আশেপাশে দেখে নেয় একবার। কেউ নেই। আস্তে করে সে ভেজা কণ্ঠে ডাকে, ‘বাবা’!
তার সে ডাকে সন্ধ্যার নিঃশ্বাস মুহূর্তেই গিলে নেয় যেনো। কবরের মৃত বাসিন্দা ছাড়া সে ডাক হয়তো এখনও কেউ শোনেনি।

লাইক শেয়ার কমেন্ট | মাহবুব ময়ূখ রিশাদ
সেকেন্ডহ্যান্ড | মাহমুদ নোমান
পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন | মাসউদ আহমাদ
গিলরয় | ফারাহ্  সাঈদ
ঘর | নুসরাত নীলা
প্রেম-অপ্রেমের কাব্য | নাহিদা নাহিদ
জীবনের ছুটি নেই । জব্বার আল নাঈম
বোবা সুখ | নাদিরা মুসতারী

খুচরো আলাপ | কিঙ্কর আহ্‌সান
 যেভাবে এহসানের ট্রেন বিষয়ক গল্পে ঢুকে পড়ি | এনামুল রেজা
যেভাবে অনিকেতের মৃত্যু হয়েছিল | আবু উবায়দাহ তামিম
 আদিম | আবদুল্লাহ আল ইমরান
টান । আকাশ মামুন
এই সময়ের এক কুড়ি গল্প পড়ুন বাংলানিউজে


 বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।