লালন শাহের বাউল গানগুলোই ভক্তদের অন্যতম অনুষঙ্গ। তাইতো একটু অবসর পেলেই একতারার সঙ্গতে সুর ওঠে।
অনেক বাউল ফকির আবার গানের মধ্যেই জেগে ওঠেন জীবনবোধে। দল বেঁধে গান করেন সাধু-সঙ্গীদের নিয়ে।
সাঁইজীর ধামে তিন দিনের জন্য এসেও সাধু-সন্নাসীরা সংসার পেতেছেন পুরো দমে। যেন আরাধনায় তাদের এ দিনগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভক্তরা এসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সাঁইজী লালন শাহকে। মূল মাজারের পাশেই আয়োজন করা হয়েছে ফকির লালন শাহের জীবনী নিয়ে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর। লালন শাহকে স্মরণ করেই চলছে কুষ্টিয়াবাসীর প্রাণের মেলা।
সে মেলায় স্থান পেয়েছে বাদ্যযন্ত্রের নানা অনুষঙ্গ। ফকির সাধকেরা এ সুযোগেই নতুন করে সাজিয়ে নিচ্ছেন তাদের বাদ্যযন্ত্রগুলো। মেলায় রয়েছে বিভিন্ন খাবার। তবে এর মধ্যে স্থানীয় খাবারগুলো যেমন উল্লেখযোগ্য, তেমনি ক্রেতাদের তাতে চাহিদাও বেশি। রয়েছে গ্রামীণ মেলার স্বাদ। আর নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের সঙ্গে মেয়েদের শখের নানা অনুষঙ্গও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এইচএমএস/এইচএ