রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ইন্দিরা গান্ধী কালচালার সেন্টার আয়োজিত একক বক্তৃতায় একথা জানান লেখক। এসময় তিনি বাংলার সংস্কৃতি বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
ড. গোলাম মুর্শিদ বাঙালিদের বৈশিষ্ট্যগুলি উদ্ধৃত করে তার বক্তৃতা শুরু করেন। তিনি বর্তমানে বাংলা সংস্কৃতির বিরূপ অবস্থার প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন তার বক্তব্যে। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন এই গবেষক।
সমাজে নারীর ক্রমবর্ধমান অবস্থান ও নারীর ক্ষমতায়নের ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সরকার নারীদের জন্য সব বিষয়ে ৩০ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নারীর অবস্থানের উন্নতির সবচেয়ে বড় কারণ।
ড. মুর্শিদের মূল গবেষণার বিষয় নারী শিক্ষা, বাংলা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস, বাংলা গদ্য ও বাংলা সাহিত্য। তার প্রথম বই Reluctant Debutant: Response of Bengali Women to Modernisation) (১৯৮২)। এ বইটি দক্ষিণ এশীয় নারীদের জন্য একটি অগ্রণী কাজ বলে বিবেচিত এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ব্যাপকভাবে পর্যালোচিত।
লেখালেখির পাশাপাশি ড. গোলাম মুর্শিদ একজন গবেষক, সংবাদ-উপস্থাপক ও আভিধানিক। এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক ও ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় জড়িত ছিলেন।
সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কাজের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে প্রবন্ধ-গবেষণায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮২) অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এইচএমএস/এএ