সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধায় লাল-নীল আলোকছটা আর দর্শকপূর্ণ গ্যালারিতে সেজেছিলো কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন। শিল্পীরা ফিরোজা রঙের শাড়ি আর নীল পাঞ্জাবিতে একে একে মঞ্চে প্রবেশ করে ঘোর লাগানো কণ্ঠে আবৃত্তি কবিতা।
স্বাগত সংলাপ আবৃত্তি সন্ধ্যায় নয় জন শিল্পী আবৃত্তি করেন মোট ১৯টি কবিতা। আবৃত্তির সব কবিতাগুলোই যেন পৌঁছে যাচ্ছিলো উপস্থিত দর্শকদের মননে। পরিবেশনায় শিল্পীদের কণ্ঠ আর ভাষাশৈলী ছাপ রাখছিলো মুগ্ধতার গলিচত্বরে। তাইতো দর্শকদের হাততালি হয়ে ওঠে আবৃত্তির নতুন ছন্দ।
দর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, শীত শীত এই সন্ধ্যায় এমন কবিতার আয়োজন বেশ দারুণ একটা বিনোদনের মাধ্যম। আর আবৃত্তিগুলোও বেশ দারুণ। কেমন ঘোর লেগে যায়।
আবৃত্তিশিল্পী নাদিমুল ইসলাম, মারুফ সিদ্দিকী, রাজিয়া সুলতানা মুক্তা, নিবিড় রহমান, আহমাদুল হাসান হাসনু, আফরিন খান, একেএম শহিদুল্লাহ কায়সার, সালাম খোকন ও শফিক সিদ্দিকী আবৃত্তি করেন একক কবিতা।
তারা আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথিকা, কৃষ্ণকলি, শেষের কবিতা (নির্বাচিত), বোঝাপাড়া, কাজী নজরুল ইসলামের ফরিয়াদ, সৈয়দ শামসুল হকের আমার পরিচয়, সুবোধ সরকারের শাড়ি, মল্লিকা সেনগুপ্তের কন্যা শ্লোক, মিরোস্লাভ হোলুবের আবিষ্কার, জসিম উদ্দিনের জলের লেখন, এম আখতার মুকুলের চরমপত্র (নির্বাচিত অংশ), শুভদাস গুপ্তের বাঁশি, সুকুমার রায়ের রাগের ওষুধ, সৃজন সেনের মাতৃভূমির জন্য, মোফাজ্জল করিমের নেশা, আবু হেনা মোস্তফা কামালের ছবি, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের তালিয়াৎ ও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এসো আমরা প্রেমেরে গান গাই।
আবৃত্তি সন্ধ্যার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কণ্ঠশীলনের সভাপতি, প্রশিক্ষক ও নির্দেশক গোলাম সরোয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ