তিনি বলেন, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এক অঞ্চলের সংস্কৃতি অন্য অঞ্চলে প্রবাহিত হবে, যা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করবে। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ঐতিহ্য সংস্কৃতিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করবে এ কর্মশালা।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সার্ক হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও কর্মশালা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সার্ক কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ওয়াসান্তে কতোয়ালা, নির্বাহী পরিচালক কিসানি জয়াসিং উজিয়াসেকারা প্রমুখ।
সার্ক কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ওয়াসান্তে কতোয়ালা বলেন, সার্কের এ আয়োজন সার্কভুক্ত দেশগুলোর ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরার এক অনন্য প্রয়াস। বাংলাদেশ তার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে বিপুলভাবে সমৃদ্ধ। এ আয়োজন তাকে বিশ্বদরবারে আরো সুন্দরভাবে তুলে ধরবে।
কিসানি জয়াসিং বলেন, এ কর্মশালা সার্কভুক্ত দেশগুলোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি উপভোগের আয়োজন, যা প্রতিটি দেশের মধ্যে সংস্কৃতিতে একটি সেতুবন্ধনের কাজ করবে।
এ সময় তিনি এ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সার্ক কালচারাল সেন্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় চার দিনব্যাপী এ কর্মশালা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। আয়োজনের মূল আকর্ষণ সার্কভুক্ত দেশগুলোর হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও নৃত্য উৎসব।
৩০ নভেম্বর (বৃস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে আয়োজন করা হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। ১ ও ২ ডিসেম্বর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে বাংলাদেশসহ ভারত, ভূটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার নৃত্য দলের পরিবেশনায় সার্ক ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশিত হবে।
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় সার্ক হস্তশিল্পের প্রদর্শনী হবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী অনুষ্ঠান।
এছাড়া ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বিকেল সাড়ে ৪টায় লাঠিখেলা প্রদর্শিত হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/আরআই