বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনের ৩ নম্বর গ্যালারিতে চলছে এ প্রতিযোগিতা। সারা দেশের বাছাই শিল্পকর্ম থেকে শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনী সম্পর্কে কথা হয় আয়োজক কমিটির সদস্য কাজী আসেফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পী রাশেদ ছিলেন আমাদের খুব কাছের বন্ধু। তার ভাবনার জগতটা সবার খেকে আলাদা ছিল। সে ভাবতো কীভাবে শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যায়। এরপর খুব অল্প বয়সেই তার মৃত্যু হলে আমরা বন্ধুরা মিলে এ আয়োজন করি। যা নতুন শিল্পীদের প্রকাশের অন্যতম একটি স্থান।
অ্যাক্রেলিক, মিক্সড, জলরং, বুননসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি শিল্পকর্মগুলো কথা বলে জীবনের, কথা বলে অতীত, ভালোবাসা, শহর, প্রকৃতি, সময় ও অপেক্ষা নিয়ে। আরো আছে শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সমসাময়িকতা। শিল্পী মাহবুবুর রহমানের অ্যাক্রেলিক যেন তারই বড় প্রমাণ।
বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ বন্ধের দাবি নিয়ে আঁকা তার ছবিটি নিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমসাময়িকতা। আর বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটাই সবচেয়ে বড়। সেখানে বড় সমস্য হলো রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের ব্যাপারটি। চিত্রের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটাই আমার কাছে বড় বলে মনে হয়েছে।
প্রেম আর নারীর পাশাপাশি শিল্পকর্মে বাদ পড়েনি জীববৈচিত্র্য। রং-তুলিতে আবদ্ধ হয়েছে সুন্দর হরিণ, গরু আর পাখির অবয়বও। বন জঙ্গল নিধন করার ফলে পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা শুরু করেছে জঙ্গলের প্রাণী। সেগুলোকেও তুলে ধরা হয়েছে আয়োজনের।
এ বিষয়ে শিল্পী এমআই মিঠু বলেন, শিল্পগুলো শুধু শিল্পকর্ম নয়, তা গণসচেতনতার মাধ্যমও বটে। তাইতো আমাদের লক্ষ্য শিল্পের সুরে ঘুমন্ত মানুষ জেগে উঠুক। জেগে উঠুক মানুষের মনুষ্যত্ববোধ। স্বস্তির নিশ্বাসে বেঁচে থাকুক আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত। জাতীয় চিত্রশালায় প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/এএ