কুকুরের মতই এই উপমাগুলি মুখে আওয়াজ করে, লেজ নাড়িয়ে বিভিন্ন ছলাকলায় উন্নত প্রভুর সঙ্গ লাভ করতে চায়। প্রথমে বিনীত ও অল্প গতিতে, তারপর তীব্র গতিতে লেজ নাড়িয়ে এ হেন কুকুর-মানুষ জাতে উঠতে চেষ্টা করে, ব্যক্তিগতভাবে প্রেম প্রত্যাখান করায় ও জুলুজুলু ভঙ্গিমার এ ধরনের কুকুর-মানুষ বিবর্তন দেখেছি।
উন্মুক্ত যৌনতার প্রতি বেশ আকর্ষণ, এদিকে মানবিক সংস্থার এজেন্ট হওয়ায় তা প্রকাশ্যে আনা যায় না! তারা শুধু সহজ পন্থা ধরে বিশুদ্ধ কুকুর হলে ভালো হতো, কিন্তু তা না হওয়ায় সমাজে সমতা হারিয়ে গেছে! আর সবচেয়ে বড় ঝামেলা, এই কুকুর-মানুষরা যেহেতু সংকর মানে, ধরুন কিছু পাওয়ার ইচ্ছে অবধি সে কুকুর, আবার পাওয়া হয়ে গেলে সে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করে। অবশ্যি কুকুর-মানুষের স্তর ভেদ আছে, আমি প্রধানত এপাড়া ওপাড়া তাড়ানো অতিরিক্ত ঘেউ ঘেউ এর ঘেঁয়ো কুকুরের কথাই বলছি। অবশ্যই মহাভারতের কুকুরের এখানে কোনো স্থান নেই। কারণ, সে কুকুর বিশুদ্ধ কুকুর।
আমি যেহেতু কুকুর-মানুষ হাইব্রিডের খিল্লি করছি, তাই ওসব ধর্মীয় দৃষ্টি এখানে নেই। অবশ্য প্রবাদে আছে, কুকুরের কামড় পায়ের ওপরে ওঠে না। কিন্তু ‘কুকুর-মানুষের’ কামড়ের প্রতিষেধক এখনো বেরোয় নি। তাই সম্পূর্ণ কুকুরগণ ও সম্পূর্ণ মানুষগণের সতর্ক থাকা আবশ্যক!
গোড়ায় গলদ থাকলে গাছ যে ঝুরি নামায়, তাতে দোল খেতে পারে না অপোগণ্ডরা। আমরা দোল খাই চিরহরিৎ -এর বনে---নকল দোল। বসন্ত আর শীতের সময় যজ্ঞরচনার জন্য কোনো ঋত্বিককে পাওয়া যায় না! ইতস্ততভাবে পাক্ষিক শক্তিকে দ্বিগুণ করে শরীরী অবকাশে স্বস্তি পাই ---ওগুলো ছুটির দিন। প্রত্যেকটা বিছানা রচনার থেকে ডিম্বনিঃস্রাবী অবধি তারা কি বাঁচিয়ে চলছে নিধান, ‘আমি বন্ধুর গাড়ি থেকে নামলে আমার প্রথম বন্ধু দ্বিতীয় বন্ধুকে বলে রাত হয়ে গেছে, ওকে একটু এগিয়ে দিস’ ---এটা ঘনঘোর তিলেপড়া জামাকাপড়---রোদ লুকিয়ে আছে বলে বর্ষাকে ভয়।
যদি কাউকে আরতির সময় ডাকি, সে আগুন না দেখে প্রদীপে তেলের পরিমাণ দ্যাখে...একটা সাত্ত্বিক আলো চাই যাতে পাপ পোড়ানো যায়---যার ছাইও থাকবে না---যার অবয়বও থাকবে না। এতগুলো মানুষ প্রোটোন্যাপিক (যারা লাল রং চিনতে পারে না), অথচ পুরো দেশটার ট্র্যাফিক সিগন্যাল ই ‘লাল’---এটাই তো গুরুচন্ডালী দোষ।
ভরাডুবি শনির দশায় গোঁজামিলে ক্বাথ খাচ্ছি---কুকুররা কাঁই কাঁই করছে –-- অহি-নকুল সম্পর্করা যদি যৌনবাহানায় গলা টিপে মারে!
কিছু জীবের জন্য ঋতু নির্দিষ্ট থাকে। তারা অতিবলার মন্ত্র জানে না, তাই অসময়ে খেলে---কিন্তু মানুষকে শ্রেষ্ঠ ভেবে ঋতু সমস্ত ‘ঋতু’ দিয়েছে--- ভেবেছে এদের গুরু-লঘু দুই মস্তিষ্কই আছে। এরা কার্যকারণ ভাববে---মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে, ক্ষমতাই অক্ষমতার নামান্তর---প্রতিটা মাস তাদের ভাদ্র হয়ে গেছে --- প্রতি মাসে তারা টুপি পরাচ্ছে উষ্ণশোণিতকে ---হ-য-ব-র-ল খেলছে বীজধান প্রকল্প নিয়ে ---নিয়ামক উচ্চ রেখে নরম ঘাসের শরীরে বিঁধিয়েছে কান্না --- খিদের অভ্যাস পাচকরস আর পাকস্থলি দুটোকেই চরিত্রহীন করে দেয় ---ও মানুষ ‘যখন তোমার রাস্তায় খিদে পায়--- তোমার পাশে বসে কেউ খেলে তুমি কি খাবার কাড়ো! বাড়িতে গিয়ে হাত ধুয়ে প্লেট পেতে স্বীকৃত শান্তিতে খাও, তবে ধর্ষণ কেনো কোরো---ভোলগা থেকে গঙ্গা –এর চেয়ে অনেক এগিয়েছি আমরা ---সুর পাবে---গার্হস্থ্যে পাবে সন্তানের মা--- স্বীকৃত শান্তিতে---অপেক্ষা করো, শরীরে এত হতাশা কেন!’
এ বাতাস লুকিয়ে কাঁপছে, কেউ জানে না! ওরা এর ঘাড়ে ওর ঘাড়ে উঠে কামনায়। ওরা তো অনুপাত শেখেনি, ওদের শব্দরা কেবল ঘেউ ঘেউ তে আটকে। কিন্তু মানুষ তুমি তো শিখেছ অনুপাত--- অনেক শব্দ তোমার--- ‘বীজ’ গণিতও তোমারই বিষয়---তবে তুমি কেন সমস্ত ঋতুতে ভাদ্র মাসের কুকুর???
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
জেডএম/