কবিতার হাটে ইদানীং অজস্র হামবড়া কবির নিষ্ফল
আস্ফালন বড় বেশি বিচলিত করে আমায়
জানি না, কে যেন এসে চুপি চুপি বলে-
আমি নিজে কেন কবিতা লিখি না!
বুঝি না কে সে? হয়ত তুমি, হয়তো বা অন্য কেউ-
তবে কি সে তোমার ছায়া, তোমারই মায়া
যদি আমার আমি তোমার তুমিতে একাত্ম হতেই না পারে
তবে কী করে সাজানো হবে সেই কবিতার মালা!
কবিতা লেখা কি এতই সহজ? হাটুরে কবিদের মতো নই আমি,
আমি চাই আমার হৃদয়-নিংড়ানো সমস্ত ভালোবাসার
পংক্তিমালা ডালি ভরে এনে সাজিয়ে তুলি
তোমার মেহেদিরাঙা চরণযুগল, তুমি কি তা জানো?
মনের গহীনে ইতিউতি কী যেন পলায়নপর হাওয়া হামেশা এসে
স্মৃতি হয়ে দোল খায়! স্পন্দিত হৃদয় সহসা নেচে ওঠে
উচ্ছ্বল কিশোরীর সলাজ হাসি, আর অন্ধ কুঠুরির বুনো উদ্দাম
তখনই মনে হয়, আমি না হয় কবিই হয়ে যাই!
চাইলেও কেন আমার পক্ষে কবিতা লেখা সম্ভব হয় না। বলো,
কীইবা লিখবার আছে আমার! তবে কি এই না পারার রহস্য
তুমি একদমই বোঝো না? জানো না যে তোমার
অস্তিত্বই আমার নিত্যপাঠ্য জগৎশ্রেষ্ঠ কবিতা!
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এসএনএস