আমাদের মাহাত্ম্যের নাম কামিনী-কাঞ্চন। হ্যাঁ, ঈশ্বর বলেছিলেন এই গান নাকি অচিন পাখির দেয়ালা
তারপর আমাদের দেহ মুক্ত হলো...
বাংলাদেশের সেই লালনের গান— সেই আখড়া, যার জন্য ছুটে যাচ্ছে পাগলের দল আর তার মুখে নেশা হয়ে রবিঠাকুরের শিলাইদহ দেখছে শক্তি কাকে বলে!
আঁধার খেলো গা, গায়ে লাগে আঁধার।
তাই বোধহয় সক্রেটিসের মতে, যা ভালোও নয় মন্দও নয়, তা ভালোর এবং কেবল ভালোরই বন্ধু হবে। এইভাবে সম্পূর্ণ বিষয়টি একটা কাউন্টার আলোচনার মধ্যে ঢুকে পড়ে... এবং বিষয়টি শুধু সন্দেহের, আসলে এই হওয়া আর না হওয়ার মাঝে যে নির্বিবাদী জমি; মানে, ধরুন নো ম্যানস ল্যান্ড আছে, তার মধ্যে একটা কূটচাল আছে যা আপনাকে কোনো অবস্থাতেই সুখে থাকতে দেয় না। হওয়াকে বলবে, “না হওয়ার দিকে” তাকা এবং না হওয়াকে বলে “হওয়ার” দিকে তাকা।
উদ্দীপনা দিতে থাকে যে, এর নিরসন কী, আর পাঠকের দিকে তা ছুঁড়ে দেওয়া হয়।
#
চমকে উঠছে শিউলি, আমি তার বৃন্ত থেকে পৃথিবীর লালিত্য নিজের গায়ে লাগিয়ে ফেলেছি, এ এক চুরির দায়! গায়ে গা লাগিয়ে বসেছে শুক আর সারি, আমাকে দেখে ওরা নিয়তি আনতে গেছে। যেখানে তৃপ্তি, তৃপ্তিকে বাঁচিয়ে রাখে সেখানে তো শক্তির খেলা শিখতে হয়!
#
এসো আমায় নাও, এসো কিছুতেই আমায় নিও না! মধ্যিখানে মারো আমায়, মধ্যিখানে মারব আমি তোমায়। কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে ভাঁড়ের গায়ে জলের দাগ আঁকো!
#
যে আমায় খুব কাঁদিয়েছে সে আমার শত্রু! না না, সে আসলে আমার অন্তিম এক অপার্থিব মিত্র, সে আমায় খড়িমাটির ভাষা দিলো, আমি নগ্ন হওয়ার আগেই প্রকৃতি ও পুরুষ বুঝলাম। আর নেশাকে দেখলাম সে তরতর করে কানায় কানায় ভরিয়ে ফেলছে আমায়, আমি তার দেবী, আমি তার দাসী, সে আমার দেবত্র খুঁটে খায়। এই দেবত্র ও দাসত্বের মাঝে শরীর খসবে হাসতে হাসতে!
তাই ভয়ের মধ্যস্থ পাগলামির দিব্যি,/ সমস্ত ভৌত বস্তুর সস চাটা জিভের লালাকে/ থু করে ফেলে নিজেই কামড়েছি ঠোঁট/ এত জোড়ে কামড়েছি যে/ পৃথিবীর কোনো জান্তব পুরুষের দাঁত হেরে যাবে!/ ঠিক ঠিক যে যে মুহূর্তে/ আমি আমার কান্নাকে ভয় পাই ভীষণ/ সেই মুহূর্তে তীব্র শব্দ বাজিয়ে/ আকণ্ঠ চীৎকার করে অস্তিত্বকে আয়না দেখাই...
#
এই ঠোঁটে দেখো একতারার তার লেগে গেছে, দু’দণ্ড বসো গোঁসাই। আমি তোমার সুর খুলে মধ্যরাতে খেলি। জানো শরীরে বৃষ্টি নামার আগে, আমি সমস্ত মেঘের গলা টিপে রক্তচন্দন লাগাই! এখানে ইচ্ছে মরে, ইচ্ছে বাঁচে, ইচ্ছে করে জন্মযোগে খেলি...
#
এই যে পিরিত, এখানে তো অচিন পাখির বাসা, একে নিয়ে ভয় হয়, এই বাস্তব চিনতে ডর লাগে, তার চোখে আমি ফেট্টি দিই, কপালে আদরের তিলক, গলায় পুঁতির মালা। সে যেনো গাইতে পারে গোঁসাই। আমি তার ছাউনি ধরে ধরে মধ্যরাতে লিখেছি সে পংক্তিমালা, তুমি তখন চূর্ণীর সামনে বসে আমায় দেখতে। তোমার আমার ফারাক অনেক, তবু আমি তোমার ঠাণ্ডা গা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি শাদ্দলে ঢাকা, আহ! কী চিকন সৎ প্রেমের ডাক তোমার গোঁসাই, সাদা গুচ্ছ দাড়ি, পৃথিবীর কেউ তোমার মতো ডাকে না গোঁসাই। এখানে আমি গঙ্গাজল দেখেছি...
চূর্ণ করো আমায় চূর্ণী
চূর্ণ করো আমায়
আমার ঘরে জলের ভীষণ খেলা
আমি তাকে জাপটে জাপটে রাখি
আমি ডিগবাজি খাওয়া লোপাট পৃথিবীর
দস্যু-সন্তান হয়ে বুঝতে পারছি
সুস্থ হলে আমি কখনও লিখতে পারতাম না—
ব্যাঁকা লেখার দিব্যি
এখন শুধু গতি
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
এসএনএস