ঠোঁটজোড়া বন্ধ রাখার সুবিধা বুঝে গেছি।
বিষাদের চিৎকারে অলিখিত রোজনামচায়-
কাটাপায়েও হাঁটতে শিখে গেছি বেশ আগেই!
আমি বুঝে গেছি-
অধরা বোধে তালহীন নৃত্য করার আনন্দ।
ইমরান তুই পালিয়ে যা-
আমি খরায় শুকানো মটরশুটি হয়ে থাকি!
ত্রিকাল
আমাদের খুব ঘুম প্রয়োজন
কিন্তু স্বপ্নাহত চোখে-
নেই তন্দ্রা- ক্লান্তি, কিংবা ভ্রান্তি!
কেবলি ঝুলে থাকা আঁধার
উচ্চমাধ্যমিক শূন্যতায়,
হাতড়ে ফিরি কৈশোর
যৌবন এবং আগামীর বিবরণ...
হৃদয়শোক
সরীসৃপ কুণ্ডলী পাকিয়ে বসছে জীবনবাউল
কেতলিতে শিঁ শিঁ করে জল ফুটছে
হৃদয়শোকে মনে করছে-
জীবনের কত নরম মুহূর্ত চায়ে কাটিয়েছি!
কেতলিতে একজনের চা হচ্ছে,
তখন হতো দু’জনের!
মোমের জীবন- জলে আর গলে...
লালশাকের অভিনয়
বাবার ডান পাশে খেতে বসেছে আমেনা। মাছের ঝোলে রান্না করা নতুন লাউ মরমীয় সঙ্গীতে আয়েশ করে খাচ্ছে সবাই। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে বাবা নুরল আলম। পাশে থাকা এলোকেশী ছোট মেয়েটির লালশাক খুব প্রিয়।
খাওয়ার সাথে পলাতক ভাবনাগুলো ধরা দেয় মনের খেয়ালে। শৈশবে লালশাকের ঝোল দিয়ে রক্তের অভিনয় করতো আমেনারা। আর এখন রক্ত দিয়ে লালশাকের অভিনয় করে জীবন খেলায় ভুলিয়ে দেয় মা-বাবার শোকাশ্রু।
বাবারও প্রার্থনা দুপুর ঢেকে দিক শিশিরমমতায় ঘাসফুলের কান্না!
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এসএনএস