মঞ্চে এলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ। বললেন, মানুষ শুধু আনন্দেই গান করে না, কষ্টে, বিপদে, হাহাকারেও গান করে।
এরপরই শুরু সঙ্গীতানুষ্ঠান। সে আয়োজনের সকল গানে ভালোলাগা আছে, ভালোবাসা আছে। মনের অব্যক্ত কথা উঠে আসে শিল্পীর কণ্ঠে। গ্রামীণ জীবন-যাপনের চিত্র আর কিষাণ-কিষাণী অথবা নববধূর মান অভিমানের গল্প ফুটে উঠলো সেসব গানে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হলো লোকগানের এমনই এক আয়োজন।
সে আয়োজনে বুঁদ হয়ে ডুবে ছিলেন সংগীত প্রেমীরা। উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুণ্ডুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সন্ধ্যার এ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আলোচিত গানের দল বহ্নিশিখা। বিজয়ের মাসে লাল সবুজে নিজেদের রাঙিয়ে নিবেদনে আনেন বাংলার নিজস্ব গানগুলো।
লোকগান ছাড়াও রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, হাসন রাজার গান, লালনগীতি ও আধুনিক গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আবিদা রহমান সেতুর সংগীত পরিচালনায় এসময় ১৪ জন শিল্পী মোট ১৮টি গান পরিবেশন করেন।
কথা হয় সংগীত প্রেমী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলার নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার নিয়ে যে গানগুলো, আধুনিক গানের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে যেসব গান, শিল্পীরা আজ সেগুলোই পরিবেশন করলেন। এ আয়োজন সত্যিই অনন্য। অনেকটা বৃষ্টির সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ির বারান্দায় বসে প্রিয় মানুষগুলোর কণ্ঠে গান শোনার মতো!
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এইচএমএস/এমএ